বিপ্লব কেবল রক্ত নয়
বিপ্লব মানে শিকড়ের মতো লড়াই
শব্দে, চিন্তায়, প্রেমে ও সংগ্রামে…
শব্দ আসে না। দরদ দিয়া ডাকি। মা মা বইলা চিৎকার করি। সে আসে না। সহনশীল হৃদয়ে ঘোরপাক খায় জাগতিক দৃশ্য। সংস্কারবাদী আন্দোলনে রক্ষনশীল পিশাচ ; ফিরিয়ে আনতে চায় আদিম স্বৈরাচার। মুখ চেপে রাখে লুকায়িত ইগো — বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ভীড়ে কোথায় সেই অলৌকিক সাম্য? জনগণের আকাঙ্খারা কোথায়? জনআকাঙ্খারর প্রতিটা শব্দ খাবি খায় রোজ রাত্তিরে — ক্যাওয়াটিক সময়ের বাংলাদেশে।
ভোট না দেয়ার আক্ষেপ। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্ব গতি। বাবার বঞ্চিত প্লেট। বেকার যুবকের শব্দহীন তেজ। অর্থহীন নয় কিছুই। পিয়ানোর করুন সুর। বঞ্চিত জীবনে জন্ম দেয় হাজারটা শব্দ ; এলোমেলো পতাকার ভাঁজে — উড়তে থাকে চেতনার পাখি। প্রেম নয় — সংগ্রাম নয় ; শুধু চিন্তা আর চিন্তা ; তবুও প্রেম তবুও চিন্তা — অসমাপ্ত সংগ্রামের নতুন শব্দ শেকড়ের মতো আটকে রাখে — সাম্যবাদী বাংলায়।
যে আকাঙ্ক্ষারা নিরব ছিল — এত দিন টু শব্দ করেনি। আত্মসম্মান ফিরে পেতে তাদের হৃদয়ে আজ ঝড় ওঠেছে। ঝড়ের অস্থির চিত্র মানচিত্র জুড়ে। তছনছ হয়ে যাবে সব — মূর্তি ভাঙার প্রকল্প হিসেবে ছাত্রজনতা বেছে নিয়েছে রাজপথ। দিল্লি আর ঢাকার দূরত্ব বেড়েছে কয়েকশো ক্রোশ।
রাজপথের প্রকম্পিত স্লোগান প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসে। নতুন প্রজন্ম হাহাকার থেকে বাঁচতে চায় এসব দেখেই কবির কলমে আসে না কোন শব্দ। কলমের আঘাতে রক্তাক্ত শব্দ জন্ম দেয় জুলাইয়ের। জুলাইয়ের রক্তাক্ত ভূমি পিচ্ছিল শ্যাওলার মতো ; পা ফসকালেই শুনি কানাঘুঁষা। আধা বিপ্লব! আধা বিপ্লব — প্রস্তুত হও জুলাই যোদ্ধা। ফুরিয়ে যাইনি কেউ। একবাক্যে বলে দিব — অজস্র শব্দ।
বসন্ত আসুক। কোকিল ডাকুক। ফুলে ফুলে ভরে যাক এ নগর। লাল নীল হলুদ সাদা গোলাপি প্রতিটি ফুলের বিনিময়ে কেবল একটাই শব্দ — "জুলাই বিপ্লব"