আমার প্রিয় নিরবতা
থুথুর শব্দ কথার নিমিত্তে জীবন
অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত
বৃষ্টির মতো আঘাত করে
গভীর রাত্রিবেলা
রাত জাগা হরিণ চোখ
যেন দেবীর প্রিয় মুখ
অপ্রত্যাশিত নিরব হাসি।
এখনো নিরবতা
বৃষ্টিহীন রুক্ষ ত্বকে
সূক্ষ আচর কাটে -
পাখির উশকো পালক থেকে
খসে পড়া সৌন্দর্য ম্লান হয়।
নান্দনিকভাবে ফুটে ওঠা
তরুণীর একটু ত্বক। একটু উপস্থিতি
লুকানো চোখের অগোচর হাসি
নিরব হয়ে দেখি।
শব্দ না করার কম্পনে
এগিয়ে গেছি জীবন থেকে জীবন
স্বভাব থেকে মগজে
চক্রাকারে এভাইবেই
গভীর তরঙ্গের খোঁজে। যখন নিবিরতা ভাঙে।
একটা ঘাস। একটা কুকুর। একটা কাক।
গতির কাছে অগতির বিবেক।
পাহাড় আর নদী।
ঘোলা জল ক্রমশ স্বচ্ছ হয়।
আবারও নিরবতা। হৃদয়ে বপন করা বীজ থেকে
জন্মানো চেতনার আদিম পাখি
রীতিমেনে আবিষ্কার করবে নিরবতার নতুন সজ্ঞা।
পাখির গান সীমাহীন প্রেমে নিরবতা জাগাবে
অন্তরে অন্তরে ভেঙে ভেঙে
যুগ যুগ পরেও
উত্তাল যৌবনে মানবীর সৌজন্যে।
ঘাস গুলো শিশিরের ফোঁটায়
ভিজে একাকার ; নিরবতা ভেঙে
কেউ কেউ আজ
নতুন ভাবে জেগে ওঠেছে
এই পৃথিবীর বুকে।