সূচনা পর্ব :
আম্মু আমি খালামনি বাড়ি কিন্তু আজকেই যাবো,প্লিজ আম্মু চলোনা_কতোদিন পরে সবার সাথে দেখা হবে প্লিজ আম্মু প্লিজ তুমি বাবাকে রাজি করাও।
আচ্ছা ঠিকাছে ঠিকাছে দেখছি কি করা যায়,ই্য়াহু তুমি আমার বেস্ট আম্মু
আজকের গল্পের নায়িকা তার বাবা আশরাফ চৌধুরী এবং মা আনতারা চৌধুরীর খুব আদরের মেয়ে রাইসা চৌধুরী, রাইসার ভাই আছে যে কিনা ক্লাস ৮ এ পরছে৷ রাইসা এবার ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পরাশোনা করছে (এবার গল্পে ফেরা যাক)
আম্মু তুমি বাবাকে বলেছ যাওয়ার কথা,, হ্যারে মা বললাম তোর বাবা যেতে বলেছে তবে তিনি আজকে যাবেনা তার অফিসে কি জরুরি মিটিং আছে, আমাদেরকেই যেতে বলেছে,
ওকে আম্মু আমি ব্যাগ প্যাক করে তাহলে একবারে রেডি হয়ে নিচে আসছি,,
আচ্ছা যা!
এদিকে__
রিদয়:আচ্ছা রাইসারা এখনো আসছেনা কেনো বলতো
তমা: আমিও ত সেটাই ভাবছি, আন্কেল কে ম্যানেজ করতে পেরেছে ত
তোমলা এখানে আমাল রাইতা আতু আততে এই বলে বাচ্চাটি দৌরে চলে গেলো এবার।
রিদয়:তারমানে ওরা এসে গেছে, এবার বিয়ের আসর টা জমবে মনে হচ্ছে রে তমা, চল চল!
রাইসা অনেক দুষ্ট সভাবের মেয়ে সে এসেই সবার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে ঠিক তখনি বিয়ের ডেকোরেট এর ওখানে ফোন এ কথা বলতে দেখে একজন সুদর্শন যুবক কে _মুহুর্তেই তার চোখ জোরা শীতল হয়ে যায় আশে পাশে কি হচ্ছে না হচ্ছে তার যেনো খেয়ালি থাকে না সেদিকে, সবসময় দুষ্টামি করা মেয়েটা হঠাৎ করেই যেনো স্টাচু হয়ে যায়, দিন দুনিয়া ভুলে যায়। (গাইস গল্পের নায়ক এসে গেছে 😜)
এদিকে রাইসার কাজিনরা তমা রিদয় তিশা, ওরা এগুলো দেখে রাইসার চোখ অনুসরণ করে তাকাতেই দেখতে পাই তার মায়ের বান্ধবীর ছেলে জায়ান চৌধুরী,( বাবা আরিফ চৌধুরী মা রিতা চৌধুরী এবং ছোট্ট একটি বোন জিনিয়া চৌধুরী যে কিনা রাইসার সমবয়সী) জায়ান চৌধুরীর মতো একজন মানুষ যে কিনা রাগী, গম্ভীর, স্ট্রং পার্সোনালিটির একজন মানুষ, তারি দিকে রাইসা হা করে তাকিয়ে আছে,,,, এটা দেখে রিদয় বিষম খায়।
সাথে সাথে রাইসার ভ্রম ছুটে যায় এবং ওদের দিকে এগিয়ে যায়। তারা সবাই একসাথে রাইসার উপর ঝাপিয়ে পরে, তমা বলে সালি এতোখন লাগে আসতে, আমরা কখোন থেকে অপেক্ষা করে আছি তুই ছারা জমে নাকি ভাই,, রাইসা হেসে কুটি কুটি হয়ে যায় আর বলে চল শয়তানির চুড়ান্ত পর্যায় যাবো আমরা,, হো হো করে হেসে উঠে সবাই
এদিকে এক জোরা চোখ স্থীর হয়ে তাকিয়ে থাকে রাইসার দিকে আর মনে মনে বলে অবশেষে তুই আসলি _সে আর কেও নয় রাইসার খালাতো ভাই আবির যে কিনা মনে মনে রাইসা কে প্রচন্ড ভালোবাসে কিন্তু কখোনো বলার সাহস করে উঠতে পারে না,,
রাইসার কাজিনের বিয়ে সে উপলক্ষে ছাদে ডেকোরেট করা হয়েছে রাইসা পরেছে তাতের কারুকার্যের মেরুন রংয়ের শারি। শ্যামবর্নের চেহারায়, গারো কালো কাজলে, ঠোটে গারো ডার্ক লিপস্টিক হাতে রিনঝিন করছে কাচের চুরি লম্বা চুলগুলো খোপা করে গাজরা ফুল নিয়েছে বেবি হেয়ার গুলো বার বার মুখে এসে পরছে, ___ এদিকে তার এই রুপে একজনের হার্টবির্ট বার বার মিস হচ্ছে তবে সেটা কাওকে বুজতে দিচ্ছে না লোকটি... বিরবির করে শুধু লোকটি বলে তুই আমাকে মেরে ফেলবি মনে হচ্ছে জান। এদিকে অর্নব এর বন্ধু _
জায়ান চৌধুরী ঢাকার একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মালিক। পাশাপাশি বাইরের দেশেও তার কয়েকটা অফিস আছে যেগুলো আপাতত ম্যানাজার দেখাশোনা করে।ঢাকা শহরে তার বেশ আধিপত্য।
হলুদ পর্ব শেষে রাএে তারা কাজিন সার্কেল মিলে ছাদে আড্ডা দিতে বসে___তমা, রিদয়,তৃশা, আবির সাথে রাইসা এবং রাইসার খালাতো ভাই অর্নব তার বন্ধু জায়ান, সায়র,তানভির,সাইমা সবাই একসাথে গোল হয়ে বসে।
এদিকে আবির বার বার রাইসার দিকে তাকাচ্ছে যা একজনের দৃষ্টি এরাইনি মনে হচ্ছে আবিরকে চোখ দিয়েই সে ভস্ম করে দিবে।
এর মধ্যে তিশা বলে উঠে _চলো আমরা সবাই মিলে ট্রুথ আর ডেয়ার খেলি,সায়র তিশাকে বলে আমার গার্লফ্রেন্ড আছে কিনা জিগেস করার হলে সরাসরিই করুন ম্যাডাম,
i know আমি সুন্দর,, তুমি চাইলে আমি তোমার বয়ফ্রেন্ড হতে রাজি সুন্দরী,,,,তিশা এতে রেগে গিয়ে সায়রকে বলে নিজের চেহারা টা আইনায় দেখেছেন হুলো বিড়াল কোথাকার। সায়র ও দমে যাওয়ার ব্যাক্তি নয় সে বলে উঠে, আসলে কি বলুন ত ওই যে কথায় থাকে না রতনে রতন চেনে আমাকে এতোদিন কেও চিনতোইনা অবশেষে আমার মতোই একটা বেড়াল আমাকে চিনলো, হায় তুলতে তুলতে বলে তোমাকে ত আমি ছেরে দিচ্ছি না এতো সহজে সোনা,, এতে হো হো করে হেসে উঠে সবাই।
তিশা রেগেমেগে সায়রের কাছে এগিয়ে আসতে নিলেই রাইসা এসে ওর কোমর জোরিয়ে ধরে।
#চলিত