রোমান্টিক যুগে সবাই কবি হতে চায়
হতে চায় কবির নতুন কোন এক শব্দ
যারা শব্দ কুড়িয়ে কবিতা লিখে
লিখে ধাঁর করা কবিদের চিন্তা থেকে
কখনো ডোবা থেকে পানা ফুলের আড়ালে
থাকা পোকা খাওয়া পাতিহাঁস দেখে নাই।
দেখেনি নিঃসঙ্গতার ভারে
বিবর্ণ পাগল সদৃশ ভিভোর্সী মেয়ের
নিঃসঙ্গতা ভয়াবহ নির্মমতা।
রোমান্টিক যুগে নিঃসঙ্গতা উপভোগ
না করলে কবি হওয়া যাবে না।
ইতিহাস দরকারী ; রুহমুক্তি বাড়াবাড়ি।
হতে চেয়েও হতে পারি না কবি
কলম তুলো তুমি!
হে বিপ্লবী! বিদ্রোহী। কন্যা। আমার শহিদী তামান্না।
কবিতা তো বঞ্চিত জীবনের কথা
অর্থনৈতিক ক্লান্তি রাজনৈতিক ক্লান্তি
ক্লান্তিকর এই দেশে কবিতা কেবল
লিখেছে গোলামের পুতে —
লিখেনি রবীন্দ্রনাথ সদৃশ ভদ্রলোকে।
বঞ্চিত হয়ে যিনি গোলাম
তাঁর ভেতরের ক্ষোভ
পাকস্থলীর ক্ষুধা যুগ যুগ ধরে
কবিতার সুর তুলে
বিদ্রোহ করে — সম্যের গান আর
সামাজিক আন্দোলনে গিয়ে
ক্ষুধা ক্রমশ বেড়েই চলে
রাজনীতির অঙ্গনে
বৈচিত্র্যময় চরিত্র, ভং ধরা হাসি
বিরক্তিকর ভাব :
বিরক্ত হওয়ার উপায় নেই।
দেশপ্রেমিক সূত্রে গলির কবিও
প্রতিবেশী। বোবা মানুষের হৃদয়ে
যিনি কবি — বইমেলা ঘুরে বেড়াইলে
সে হয় না কবি। ওহে ভং ধরা কবি
ধার করা শব্দ দিয়ে। কেহ হয় না কবি।
কবি হইতে কবির যোগাযোগ
কাব্যে ঠিক হয় না
হয় শব্দের খেলায় উন্নত দৃষ্টি ভঙ্গির মাধ্যমে
সবাই যদি হতে চাও কবি
বিপ্লবী বিদ্রোহী হবেই শুধু কবি।
রেনেসাঁর জিকিরে কবিতা থেকে কবিতায়
লোকলোকান্তরে পথে প্রান্তরে।
রোমান্টিক রেভ্যুলেশন ওহে! বিপ্লবী
যুগ যুগ ধরে মানুষের যুগে
বাংলাদেশ বিপ্লবী সত্তা পুষে।
ব্যারিকেট ভেঙে ফেলা হেলাল হাফিজ
দ্রবদি অস্পষ্টতা
মিছিলের প্রেম কতনা রোমান্টিক!
লক্ষীবাজারে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের
হ্যাঙলা তরুণী সে তাঁর প্রেমিকের ব্যারিকেট
হয়ে রাস্তায় নেমেছিলো। রক্ষা করেছিল
গ্রেনেডের স্প্রিন্টার থেকে। রাবার বুলেট থেকে।
ঘামঝড়া বর্ষার রোদে
ক্লান্ত রেনেসাঁ জেগেছিল
ঘরে ঘরে। জয় পরাজয় মেনে নিয়ে।
কাতর সুরে বলবে বিপ্লব হয়েছে তোমার আশায়
রক্ষা করো মাতৃভাষা। বুকে আমার গভীর আশা।
মায়ের প্রিয় বাংলা ভাষা। মুখে তাহার যত কথা।
বিশুদ্ধ বাংলা কথা — মায়ের মুখে আমার আশা।
কাতর সুরের বাংলা ভাষা।
কোথায়? সেই বিপ্লবী বিদ্রোহী কণ্যা
শহিদী তামান্না।
আরও উল্লেখ যোগ্য দিক আমাদের চিন্তায়
নোংরা হৃদয়ের রোমান্টিক ধোঁকা
অস্পষ্ট ও আধান কেন্দ্রিক ফ্যাসিবাদ
ছোট ছোট ব্যান্ড ও ট্রাইবে
সুপ্ত আগ্নেয়গিরির লাভা বুকে
আপ্লুত হয়ে ওঠবে
ক্রমশ বিস্ফোরণে সমগ্র রোমান্টিক হৃদয়
বিপ্লবী স্পর্শের স্বপ্নে
ঘাস ফড়িংয়ের মতো। সোনালী ডানার সেই চিলে। নিহত ইশ্বরের বিপরীতে।
রোমান্টিক বিদ্রোহের আলোড়িত মঞ্চ
সেই ধূমকেতু মহা প্লাবন
চেঙ্গিস বেদুইন
অতঃপর তাহারা উভয়পক্ষ
ছাত্র পক্ষ স্বর্গ হলে
জাতীয়তাবাদীরা নরক।
বাংলাদেশ কথা বলে
গণতন্ত্র হয় নি, হয়েছে যুদ্ধ।
সার্বিক জাতীয়তাবাদ — কৃষক শ্রমিক জনতার
যুদ্ধ গণতন্ত্র বিপ্লব ও সংগ্রামের ভূমি থেকে
ফেলে রাখা কলম তুলে লিখব সংকটে সংগ্রামে বিশ্বজয়ে। রোমান্স বজায় রেখে। দেশপ্রেমের বিশুদ্ধ চিন্তায়।
কোটি জনতার হৃদয়ে — আলোড়িত নতুন শব্দে চিন্তার ক্যাওয়াজ ভেঙে ভেঙে
বিশুদ্ধ প্রেমের কাছে — বিশুদ্ধ মানুষের শ্বাস প্রশ্বাসে। সরোবর থেকে সরোবর
পহেলা ফাল্গুন থেকো পহেলা বৈশাখ
শাড়ি চুড়ি আর যুদ্ধের আহত অংশ
ক্ষতের সাথে গড়িয়ে চলা দিনের স্রোতে
অতীত মুহূর্ত ঢাকার রাস্তায়
বাস ট্রাক রিস্কার ভীড় ঠেলে জগন্নাথ,
লক্ষীবাজার, যাত্রাবাড়ি, শাহবাগ, সাভার, ধামরাই বিপ্লবী প্রেমিকার অবসরে
ভীষণ ক্লান্ত ছিল। ক্লান্ত ছিল ঘাসেরা।
কুকুর গুলো চেচাচ্ছিলো। বিশুদ্ধ চিন্তার
বেঈমান। রক্ত ঝড়েছে পিঠে।
চোখ বন্ধ করে চেচাচ্ছি
লেবু আর পেস্ট হাতে বিপ্লবী বিদ্রোহী কণ্যা
পানির বোতল বহন করতে করতে
এগিয়ে চলে ঘাসহীন শহরের নির্মম হৃদয়ে।
কবির গুরুত্ব রাজনীতি নয়
কবিতার প্রেমে বুদ হয়ে আছে
আমাদের সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও রাজনীতি
টিকিয়ে রাখার নতুন স্লোগানে
লোকান্তরিত পথিকের
শুকিয়ে যাওয়া মুখে — স্টেশনের
দোকানে। মাঝরাতের স্বপ্ন দেখার পর
আলোকিত কান্না কাঁদতে চাওয়ার
পর — সম্ভব হয়নি মজ্জাগত পরিবর্তন।
নিঃসঙ্গ উদ্দীপনা — চিন্তার দূরত্ব
একঘেয়ে ফ্যাসিবাদী কর্তৃপক্ষ
আলোড়িত দেশপ্রেমের সত্তা —
বলে ওঠে দিল্লি না ঢাকা?
বিদ্রোহী চাঁদ ঢাকার মানচিত্র
এসব মায়ের হাতের রুটি নয়
তাঁরা ই দেশের মানচিত্র
তাঁরা বিপ্লবী বিদ্রোহী কন্যা
শহীদী তামান্না।
এই ভূমি। এই প্রেম।
এই মা। এই মাটি। এই আমার কবর।
বিপ্লবী বিদ্রোহী কণ্যা
শহীদি তামান্না।