ন্যানো-নির্বাণ
পটভূমি:
বছর ২০৭৫। চিকিৎসা বিজ্ঞান বিপ্লবের শীর্ষে পৌঁছেছে। মানুষের শরীরে এক ধরনের ন্যানো-বট ইনজেক্ট করা হয়, যা সব ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে, শরীরের বৃদ্ধিকে ধীরগতিতে আনে এবং এমনকি মানুষের অনুভূতিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই প্রযুক্তির আবিষ্কারক ডঃ আবির হোসেন বিশ্বাস করতেন, এটি মানবজাতিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে।
সমস্যা:
শুরুতে, ন্যানো-বট মানুষের জীবন সহজ করে তুললেও, একসময় তারা মস্তিষ্কের নিউরনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে শুরু করে। ফলে মানুষ কষ্ট, দুঃখ, হতাশা—এসব অনুভূতি আর টের পায় না। সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, এটি বাধ্যতামূলক করা হবে, যেন কেউ আর হতাশায় ভোগে না।
কিন্তু কিছু মানুষ বিপ্লব শুরু করে। তারা বলে, "মানুষের যন্ত্রণা যদি থাকে না, তবে কি সে সত্যিই মানুষ?"
সংঘাত:
ডঃ আবির হোসেন প্রথমে সরকারের পক্ষে ছিলেন, কিন্তু যখন তিনি দেখলেন তার নিজের স্মৃতি বদলে যাচ্ছে, তিনি বুঝতে পারলেন যে এটি শুধু প্রযুক্তি নয়—মানুষের অস্তিত্বকেই নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে।
শেষ অধ্যায়:
ডঃ আবির কি এই প্রযুক্তিকে ধ্বংস করতে পারবেন? নাকি মানবজাতি একটি নতুন যান্ত্রিক সভ্যতায় পরিণত হবে, যেখানে আর দুঃখ থাকবে না—কিন্তু ভালোবাসা, আবেগ, চিন্তা করার স্বাধীনতাও হারিয়ে যাবে?