একটি নিসঙ্গ পাখির ডানার ঝাপটানো শব্দ—
বাতাসে তার নিঃশব্দ চিৎকার,
সমুদ্র কি নিদ্রামগ্ন, নাকি স্বপ্নে জেগে থাকে?
ঢেউয়ের স্তরে স্তরে শাদা বিষের স্তবগান,
সন্ধ্যার রক্তাক্ত পাঁজরে বাজে
নির্বাক বজ্রের বিষাদ শ্লোক।
একটি রাত—সময় যেন শবযাত্রী,
শোকের কালো পাল তুলেছে অনন্ত সাগরে।
নীল আকাশের কপাটে
গভীর আঁধারের অর্ঘ্য পড়ে আছে নির্বাক,
ম্লান আলোয় হারিয়ে যাচ্ছে
এক নিঃশেষিত সভ্যতার মুখ।
আকাশ কি আজ শবযাত্রার পতাকা !!
নাকি অনন্ত অনলের প্রবাহ?
নির্জন সমুদ্রের শিয়রে পড়ে আছে
অর্ধেক লেখা মানব-জীবন,
যার প্রতিটি পৃষ্ঠা কাঁদে বেদনায়
সময়ের নিস্তব্ধ শ্মশানে !!
দক্ষিণে কান্না— তপ্ত বালির জলহীন মরীচিকা,
উত্তরে আগুনের গহ্বর,
পশ্চিমের দিগন্তে টুকরো টুকরো জ্যোৎস্না—
এক ঝলসানো পৃষ্ঠা উড়ে যায় ইতিহাসের হাওয়ায়।
তবু,
কোথাও এক নিঃসঙ্গ পাখির ডানায়
নতুন সূর্যের রঙ লাগে।
আকাশের অনাগত রৌদ্রে, বাতাসে
সিন্ধুর স্বর হয়ে বেজে উঠে—
সময়, সময়, সময়!প্রতীক্ষা, প্রতীক্ষা।
১৪/০২/২৫ ইং।