গদ্যে পদ্যে আঠারোর অমরত্ব শুনে যারা বুক ফুলিয়ে গোঁফে তা দিয়ে
শার্টের কলার ঝাঁকাচ্ছ,
তারা ঠিক মত রাস্তাটাই পার হতে পারো না!
অতীত আর ভবিষ্যতের সমীকরণ মেলাতে মেলাতে বর্তমান গায়েব।
এই যে আঠারো,
এত বাহাদুর, বহুত রিস্ক নিতে পারো,
মাগার সামান্য বিনয়ী হতে পারো নাই!
তুমুল ক্ষমতা আর অসীম ধৈর্য
তাই তো ত্রিশে পোষায় না বলে
বাপের হোটেলে খাইতে খাইতে
এখন পয়ত্রিশ চাও,
ওহে আঠারো, বয়স নয় হ্যাডম দিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াও।
পণ্ডিতেরা তোমাদের জয়গান গাইতে গাইতে সাঙ্গ করলো ভবলীলা
অথচ তোমার বসত ধ্বংসস্তুপে!
একটা চারাগাছও রোপণ করার মুরোদ হয়নি এখনো!
সারাক্ষণ ঝিমাতে ঝিমাতে দিন যায়
ফুল ফোঁটা যারা দেখে নাই জীবনে
তারা কাগজের ফুল দিয়ে প্রেম নিবেদন ছাড়া কিসের ফুটানি দেখাবে!
বোতল আর ট্যাবলেট ছাড়া বাঁচে না
যে আঠারো
তার জীবন তো মেইড ইন চায়না!
ভাবে বিল গেটস দেখতে বাহুবলী
কিন্তু ঠিকমত ঘুমাতে পারে না!
তুমি কি সেই আঠারো, যে কেবল ক্যাম্পাসেই প্রাণবন্ত
আর বাহিরে ফতোয়ার কারিগর?