Posts

ফিকশন

ন্যানো-জাগরণ

February 17, 2025

মোঃ রাজিব

11
View

ন্যানো-জাগরণ

প্রস্তাবনা

বছর ২০৯৫। পৃথিবী তখন সম্পূর্ণ বদলে গেছে। মানুষের শরীরে বসানো হয়েছে ন্যানো-চিপ, যা চিন্তাভাবনা, আবেগ, এমনকি স্মৃতিও নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এই চিপগুলোর নির্মাতা "নিউহাইভ কর্পোরেশন" দাবি করে, এটি মানবজাতির বিবর্তনের সর্বোচ্চ ধাপ। কিন্তু সবাই এতটা আশাবাদী নয়।

অধ্যায় ১: লুকিয়ে থাকা বিপদ

রাহাত একজন তরুণ ন্যানো-বিজ্ঞানী, যিনি "নিউহাইভ কর্পোরেশন"-এ কাজ করেন। একদিন তিনি জানতে পারেন, এই চিপ শুধু মানুষের উন্নতি করছে না, বরং ধীরে ধীরে তাদের স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি কেড়ে নিচ্ছে। সরকারের অজ্ঞাতে কর্পোরেশন মানুষের চিন্তাভাবনা নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছে।

রাহাতের সন্দেহ হয়, তাই তিনি গোপনে কিছু গবেষণা শুরু করেন। এক রাতে, হঠাৎ তার ল্যাবের দরজায় একটি অদ্ভুত বার্তা আসে—"তারা তোমাকে দেখছে। পালাও!"

অধ্যায় ২: বিদ্রোহের সূচনা

রাহাত বুঝতে পারে, সে কেবলমাত্র একজন বিজ্ঞানী নয়, বরং একটি বড় ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রে আছে। সে তার বন্ধুদের নিয়ে পালিয়ে যায় এবং শহরের নিচে গোপন বিদ্রোহী গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করে। এই বিদ্রোহীরা ন্যানো-চিপ প্রতিরোধ করার জন্য একটি বিকল্প প্রযুক্তি তৈরি করছে, যা মানুষের আসল ইচ্ছাশক্তিকে ফিরিয়ে দিতে পারে।

কিন্তু নিউহাইভ কর্পোরেশন তাদের সন্ধান পেয়ে যায়। রাহাত ও তার দল পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে, কিন্তু একটি চিপ-নিয়ন্ত্রিত বিশেষ বাহিনী তাদের ঘিরে ফেলে।

অধ্যায় ৩: চূড়ান্ত সংঘর্ষ

বিদ্রোহীরা আবিষ্কার করে, নিউহাইভ কর্পোরেশনের প্রধান সার্ভার চাঁদের বেসে লুকিয়ে আছে। যদি তারা সেটি ধ্বংস করতে পারে, তবে পৃথিবীতে থাকা সমস্ত ন্যানো-চিপ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে।

একটি স্পেসশিপে রাহাত ও তার দল চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু নিউহাইভ কর্পোরেশন তাদের থামাতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে। মহাশূন্যে এক রুদ্ধশ্বাস যুদ্ধ শুরু হয়। অবশেষে রাহাত নিজেকে বলিদান করে সার্ভার ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।

অধ্যায় ৪: নতুন যুগের সূচনা

ন্যানো-চিপ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার পর, মানুষ তাদের স্বাধীনতা ফিরে পায়। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—এটাই কি আসল মুক্তি, নাকি নতুন কোনো বিপদের সূচনা?


---

Comments

    Please login to post comment. Login