গল্প: “অপরিচিত চিঠি”
পর্ব ১: অদ্ভুত শুরু
রাত ৩টা।
নিরব শহর।
কিন্তু আকাশের নিচে এক চিঠি উড়ে বেড়াচ্ছে।
রাতজাগা মানুষজন হয়তো ভেবেছিল, বাতাসে উড়ে যাওয়া এক টুকরো কাগজ মাত্র। কিন্তু সত্যিটা ছিল অন্যরকম। চিঠিটি কোনো সাধারণ চিঠি ছিল না। এর একপাশে লেখা ছিল—
"যে এই চিঠি পড়বে, তার জীবন বদলে যাবে!"
সেই রাতে, কলকাতার ছোট্ট এক ঘরে বসে অনিরুদ্ধ নামের এক যুবক তার চায়ের কাপ হাতে নিয়ে জানালার পাশে বসে ছিল। হঠাৎ করেই সেই চিঠি উড়ে এসে তার জানালায় আটকে গেল। কৌতূহলী হয়ে সে চিঠিটা খুলল।
“তুমি যদি সত্যিই সাহসী হও, তাহলে ঠিক রাত ৩:১৫-তে রেলস্টেশনের পুরোনো প্ল্যাটফর্মে আসবে। সেখানে তোমার জন্য কিছু অপেক্ষা করছে।”
অনিরুদ্ধ চমকে গেল!
কে পাঠিয়েছে এই চিঠি? আর কেন?
পর্ব ২: অদ্ভুত এক রাত
অনিরুদ্ধ সাধারণ মানুষ নয়। সে রহস্য ভালোবাসে। তাই এক মুহূর্তও দেরি না করে রেলস্টেশনের দিকে রওনা দিল। স্টেশনে পৌঁছে দেখে, প্ল্যাটফর্মের এক কোণায় একটা পুরোনো বেঞ্চের ওপর আরেকটি চিঠি রাখা।
“তুমি যদি সত্যিই জানো, জীবন কাকে বলে— তবে পিছিয়ে যেয়ো না। ঠিক ৩:৩০-এ পরের সংকেত পাবে!”
এইসব কি কোনো খেলা? নাকি সত্যিই কিছু আছে?
পর্ব ৩: জীবন বদলে দেওয়া সত্য
অনিরুদ্ধ ঠিক ৩:৩০-এ চারপাশে তাকালো। হঠাৎ একটা কাগজ উড়ে এসে তার পায়ের কাছে পড়ল। সে তুলে নিলো—
“অনিরুদ্ধ, তুমি কি জানো, তোমার জন্মের আগেই এই চিঠি লেখা হয়েছিল?”
অনিরুদ্ধ ভয় পেয়ে গেল! এটা কিভাবে সম্ভব?
তার মাথার ভেতর হাজারো প্রশ্ন, কিন্তু উত্তর নেই। ঠিক তখনই তার মোবাইল ফোনে একটা অজানা নম্বর থেকে মেসেজ এল—
“এখনও সময় আছে, সত্যিটা জানতে চাও? তাহলে ঠিক ৪:০০-টায় শহরের সবচেয়ে পুরোনো গ্রন্থাগারের সামনে এসো। একবার ঢুকে গেলে, তোমার জীবন আর আগের মতো থাকবে না।”
পর্ব ৪: শেষ সিদ্ধান্ত
অনিরুদ্ধ কি যাবে? নাকি সবকিছু ছেড়ে বাড়ি ফিরে যাবে?
সে জানত না, তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে এমন এক সত্য, যা পৃথিবীর আর কেউ জানে না।