পার্ট -১ মানুষের জীবনে কোন না কোন কাহিনী থাকে আমার জীবনেও একটা কাহিনী আছে ।এর ভিতরে কিছু কিছু কাহিনী আমার জীবনে খুবই মর্মান্তিকভাবে উঠে এসেছে ।তার ছোট্ট একটা অংশ আমি আজ লিখব। আমার বয়স তখন ১২ আমরা চার বোন। এর ভিতর আমি বড় আমার আব্বু ছিল দিন মজুর ।মা অন্যদের বাসায় কাজ করতো ।আব্বু দিন মজুর হয় আমাদের সংসারটা ঠিকভাবে চলতো না ।আর আম্মু যা পরের বাড়ির কাজ করত এই দুইটা মিলে আমাদের সংসার টেনেটুনে চলত। আমার ছিল আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন কিন্তু আমাদের অভাবের সংসার ।আমার আব্বু ঠিক করলো আমাকে বিয়ে দিবে। আমি আব্বু আম্মুকে বলছিলাম আমাকে একটু কষ্ট করে পড়াশোনা করাতে। আমি তোমাদের অভাব আর থাকতে দেবো না। আম্মু হয়তো আমার কষ্টটা বুঝতে পারছিল কিন্তু আব্বু বুঝলো না। আব্বু আমার একটা ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করল। ছেলেটাও দিন মজুর তাদের বাসায় ও অভাব ছিল বিয়ের পরের দিন ই আমার শাশুড়ি এসে বলে মা তোমার হাতে আমি রান্না খাবো ।আমাকে সোজা রান্নাঘরে পাঠিয়ে দিলেন আমাকে রান্না করতে দিলেন মাছ ঝোল আর একটা ভাজি ।আমি রান্না ঠিকভাবে পারি না বিয়ের আগে কখনো রান্না করিনি তবে টুকটাক কাজ পারি তো আমি রান্না করলাম। আমার শাশুড়ি মা সবাইকে খেতে দিলেন আমার শ্বশুর আমার বর আমার শানে পার্টিতে বসে গেলেন খেতে তারা প্রথমবার যখন গালে ভাত তুললেন আমার শশুর রেগে ভাতটা সরিয়ে দিলেন আমার বর আমার দিকে আর চোখে তাকিয়ে ছিল ।আমার শাশুড়ি তেমন কিছু বলল কিন্তু তারা আমার সাথে এমন কেন করছে বুঝতে পারলাম না পরে বুঝলাম রান্নাযঅনেক বেশি লব দিয়ে ফেলেছি।