Posts

গল্প

জ্বীনের সাথে সংসার পর্ব ৩

February 20, 2025

Methila Islam

121
View

ইয়ামিন জ্বীন চলে যাবার পর বান্ধবী আশা সেখানে এসে উপস্থিত।

আশাকে দেখে জেসমিন বললেন।

কিরে তুই এখানে। 
জেসমিনের কথার জবাবে আশা ওর দিকে তাকিয়ে বললো। আমি এখানে না তুই এখানে। দেখ চারিদিকে তাকিয়ে দেখ এই জঙ্গলের মধ্যে কি করছিস তুই। তোকে বিয়ে বাড়িতে খুঁজতে খুঁজতে আমি পাগল প্রায়  আর তুই এখানে এসে দাঁড়িয়ে আছিস, কি করছিস বল, এখানে কার সাথে দেখা করতে আসছিস।

জেসমিন" আরে কারো সাথে না৷ আসছি ঘুরতে। 
আশা" ঘুরতে আসছিস তাইনা। তোর মা বাবাকে আজকেই ফোন করে সব বলবো। তুই সেই জ্বীনটার সাথে দেখা করতে আসছিস তাইনা।

জেসমিন" চল বাড়িতে চল গিয়ে সব বলছি।

এই বলে সেখান থেকে বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় আশা বললেন।

আশা" জেসমিন, তোকে একটা কথা বলি, জানি কথাটা মেনে চলবিনা তবুও বলি, এই জ্বীনদের থেকে দূরে থাক, আমরা মনে করি জ্বীন পরীরা সুন্দর হয়। কিন্তু ওরা যে ভয়ংকর হয় সেটা তো জানিনা। জ্বীনেরা আলাদা জাতি তাই ওদের থেকে দূরে থাক।

জেসমিন" দূরে তো থাকতে চাই কিন্তু বিশ্বাস কর, ওই জ্বীনটাকে দেখে এসব কিছু মনেই থাকেনা, ওর মায়াবী চেহারার দিকে তাকালে সব ভুলে যাই।

আশা" সব ভুলে গেলে চলবেনা। বাড়িতে আসছি, একটু পর সন্ধা নেমে আসবে, বর যাত্রীরাও চলে আসবে কিছুক্ষন পরে, তুই আমার সাথে সাথে থাকবি কোথাও জাবিনা।  আর কোথাও গেলে সোজা তোর মা বাবাকে ফোন দিবো মনে থাকবে।

জেসমিন" হ্যাঁ হ্যাঁ মনে থাকবে। তোকে না বলে কোথাও জাবোনা, আর শোন আজকের ঘটনাটা মা বাবাকে বলিসনা প্লিজ।

আশা" ওকে ঠিক আছে। 
জেসমিন" আমার লক্ষি বান্ধবীটা। 
আশা" হইছে হইছে আর ঢং করতে হবেনা। চল ভিতরে চল আপুকে বউ সাজানো হইছে দেখবি চল।

কথাটা বলে দুজনে ভিতরে চলে গেলেন।

বড় আপুর বিয়ে, বাড়িতে অনেক লোকজন, কিছুক্ষন পর সন্ধা ঘনিয়ে রাত নেমে আসলেন, বর যাত্রীরাও চলে এসেছে, বর যাত্রীরা চলে আসার পর, জেসমিন আশাকে বললেন।

আশা এই আশা, চলনা বাহিরে যাই, দেখি বিয়েতে কত লোক আসলো। 
আশা" না না মানুষের সামনে যেতে সরম লাগে, তাঁর চেয়ে চল নতুন দুলাভাইয়ের কাছে যাই।

জেসমিন" নতুন দুলাভাইয়ের সাথে কেউ নেই বুঝি, না ওখানেও যাওয়া যাবেনা। 
আশা" গেলে কি হবে। বিয়ে বাড়িতে এত লোক বিয়েতে অনেক ছেলেরাও আসছে ওখান থেকে একজনকে পছন্দ করে নে।

জেসমিন" জ্বি না আমার লাগবেনা। আমার জন্য ইয়ামিন আছে। 
আশা" ইয়ামিন সে আবার কে। 
জেসমিন" আরে ইয়ামিন জ্বীনটার নাম।

আশা" ওহহ তাহলে তলে তলে ওর নাম ও জানা হয়ে গেছে তাইনা। কতবার করে বলছি ওর থেকে দূরে থাক, আমার কথায় শুনছিস না, পরে বুঝবি মজা।

জেসমিন " আরে এসব বাদদে তো। চল ভিতরে যাই, বিয়ে পড়ানোর কাজ শুরু হইছে মনে হয়।

কথাটা বলে দুজনে বিয়ে পড়ানো দেখতে গেলেন। এর বেশ কিছুক্ষন পর খাবার ও বিয়ের সমস্ত কাজ শেষে আশার বড় আপুর বিয়ে চলে গেলেন।

আপু চলে যাওয়ার পর বাড়িতে থাকা আত্মীয় স্বজনরা খাবার খেয়ে যে যার মত ঘুমিয়ে পড়লেন।

এদিকে আশা ও জেসমিন এরা দুজনেও খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন।

রোজ রাতের মত জেসমিন ভেবেছেন, ইয়ামিন জ্বীন ওর স্বপ্নে আসবে, কিন্তু আজ ইয়ামিন স্বপ্নে আসেনি বরং জেসমিনকে বাস্তবে নিয়ে এসেছে এক অজানা জায়গায়।

এক অজানা জায়গায়, ইয়ামিন জ্বীনের ডাকে ঘুম ভেঙে যায় জেসমিনের। ওর ঘুম ভেঙে যেতে জেসমিন বলেন।

ইয়সমিন, আমি কোথায় এটা স্বপ্ন নাকি বাস্তব। 
জেসমিনের কথার জবাবে ইয়ামিন বললেন, এটা বাস্তব স্বপ্ন নয়।

জেসমিন" তুমি আমাকে কোথায় নিয়ে আসছো, আশা কোথায় 
ইয়ামিন জ্বীন " চিন্তা করোনা তোমাকে ঘুমের মাঝে নিয়ে আসছি, তোমার বান্ধবী আশা বুঝতে পারবেনা তাঁর আগে তোমাকে রেখে আসবো।

 জেসমিন" আচ্ছা আমাকে এখানে কেনো নিয়ে আসছো। 
ইয়ামিন" তোমার সাথে কথা বলার জন্য, আচ্ছা আমাকে তোমার কেমন লাগে।

জেসমিন" ভালোলাগে, তোমার মাঝে অন্য রকম একটা মায়া কাজ করে। জানিনা কেনো এমনটা হয়। 
ইয়ামিন" তাই বুঝি। জানো তোমাকে আমার ভালোলাগে, আমি তোমাকে পছন্দ করি৷ তোমাকে অনেক আগে তোমাদের বাড়ির পাশে একটা গাছ তলায় প্রথম দেখেছিলাম, তখনি তোমাকে ভালো লাগছিলো৷ তারপর তোমার পিছু নেয়ায় তোমার মা বাবা একজন কবিরাজের কাছ থেকে একটা তাবিজ এনে তোমাকে পড়িয়ে দেয় তারপর থেকে তোমার স্বপ্নে বা সামনে আসতে পারিনি।

জেসমিন" হ্যাঁ আমার মনে আছে সব, কিন্তু তুমি আমার কাছে প্রথম যখন স্বপ্ন আসছিলা তখন আমি ভয় পেয়ে মা বাবাকে বলে দিয়েছিলাম, কিন্তু পরে যখন বুঝতে পারলাম তুমি ভয়ংকর নও, তুমি আমার ক্ষতি করছোনা, তখন থেকে তোমাকে দেখার তোমার সাথে কথা বলার ইচ্ছে করছিলো।

ইয়ামিন" জেসমিন তোমাকে পছন্দ করি। ভালোবাসি। আমরা দুজনে ভিন্ন জাতি নিয়মের বাহিরে গিয়ে তোমাকে ভালোবেসে ফেলছি, তুমি আমাদের ভালোবাসার কথাটা তোমার মা বাবা সহ কাউকে বলোনা তাহলে ওরা আমাদের আলাদা করবে।

ইয়ামিনের কথায় জেসমিন মাথা নাড়িতে বললেন, ঠিক আছে।

এদিকে ওদের কথার মাঝে দূর থেকে ভেসে আসলো ফজরের আযান,

আযান হওয়ায় ইয়ামিন বললেন, আমার এখন যেতে হবে, কথাটা বলতে না বলতে জেসমিন হঠাৎ করে ঘুমিয়ে গেলেন, মানে হঠাৎ করে তাঁর কি হলো সে বুঝতে পারলেন না। সকালে যখন তাঁর ঘুম ভাঙলো তখন সে দেখলো সে ঘরের শুয়ে আছে আশার পাশেই।

তারপর ______
Next_____

Comments

    Please login to post comment. Login