মাসটি বর্ষা কাল। নারিকেলের গাছের নিচে দেখি একটা মাটির হাঁড়ির মতো।মাকে সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে বললাম মা গাছে মাটির হাঁড়ির মতো কী যেন একটা।মা ভয়ে ছুটে নারিকেলের গাছের নিচে যায়। নারিকেল গাছটির বড় নয়। নারিকেলের গাছটিতে এখনো নারিকেল হয় নাই। মা দেখে এবং আমাকে বলে ভেঙরুলের বাসা।আমি বললাম ভেঙরুল আবার কী? ভেঙরুল মৌমাছির মতো দেখতে কিন্তু মৌমাছি মধু দেয় ভেঙরুল মধু দেয় না। আরও বলল ভেঙরুলের বাসা ভেঙ্গে দিলে ভেঙরুল কামড়ায়।তিনটি ভেঙরুল কামড়ালে সাপের মতো বিষ। নারিকেলের গাছটির ছিল আমাদের রাস্তার পাশে।আমরা সবসময় সেদিকে চলাফেরা করি। কয়েক দিন পর দেখি হাড়িটা অনেক বড় হয়েছে।মা দেখল আরও পাড়ার প্রতিবেশীরা দেখল।সবাই বলল পুড়িয়ে দিতে। পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য খড় লাগবে সে সম। আমাদের খড় ছিল না।তাই মা বলল ধান বাড়িতে উঠালে খড় হবে সে সময় পুড়িয়ে দেবে। আমার ছোট ভাইয়ের কয়েকজন খেলার সাথি ছিল।তাদের সাথে সে খেলা করল।আমরা সবাই বাড়ির ভিতরে ছিলাম। আমার ছোট ভাই এবং তারায় কয়েকজন সাথি মিলে ভেঙরুলের বাসায় ঢিল ছুড়ল।সব ভেঙরুল বাসা থেকে বেরিয়ে আসে।আমার ভাই এবং তার বন্ধুরা পালিয়ে যায় তাদের কিছুই করতে পারেনা। কিন্তু বাড়ির কালু(ছাগল)ভানু(কুকুর)পুষি (বিড়াল) কে কামড়ায়।মা জানতে পায় ভাইকে বলে তোকে কত বললাম ভেঙরুল বাসায় ঢিল ছুড়িস না।তবু তুই ছুড়েছিস মা ভাইকে কয়েকটি কথা বলে বুঝাল।কালুর জন্য মা বাবাকে বলে বীরেন্দ্রর কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে আসলেন। কালু ঠিক হলো