৭ই জানুয়ারি, ২০২৫। দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।আমি ও আমার এক বন্ধু সাইকেল চালাচ্ছিলাম এই ,দিনটাতে আবার এই দিনটাতেই বি.পি.এল-এর ফাইনাল খেলা ছিল। ফাইনালে ছিল বরিশাল বনাম চিটাগাং। যেহেতু দিনটাতে বি.পি.এল-এর ফাইনাল খেলা ছিল, সেহেতু রাস্তায় একটু বেশি জ্যাম ছিল। উল্লেখ্য, বি.পি.এল-এর খেলাটা আমাদের শহরেরই একটি স্টেডিয়ামে হয়েছিল।
অতিরিক্ত জ্যামের কারণে আমি ও আমার বন্ধু ঠিকমতো সাইকেল চালাতে পারছিলাম না। তবুও এই জ্যামের মধ্যেই কষ্ট করে সাইকেল চালাচ্ছিলাম আমরা। এভাবেই সাইকেল চালাতে চালাতে, একটা বড় রাস্তায় একপাশ থেকে অন্যপাশে যাচ্ছিলাম আমরা। ঠিক তখনই ঘটে গেল দুর্ঘটনাটা।
একটা রিকশা এসে খুব জোরে ধাক্কা মারল আমার বন্ধুর সাইকেলে, আমি একটুর জন্য বেঁচে গিয়েছিলাম। আমাদের সাথে আরও কিছু লোক রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এই দুর্ঘটনার সম্পূর্ণ দোষটাই ছিল রিকশাওয়ালার। তাই, আমাদের সাথে থাকা অন্যান্য লোকেরা সবাই রিকশাওয়ালাকে আটক করল।
রিকশাটা ছিল মোটরযুক্ত, অর্থাৎ অটোরিকশা। রিকশার চাবিটা খুলে নেওয়া হলো, আর লোকে রিকশাওয়ালাকে অনেক গালমন্দ করল। কিছুক্ষণ পর চাবিটা আবার ফিরিয়ে দেওয়া হলো। রিকশায় একজন যাত্রীও ছিল, তার মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল সে খুব ভয় পেয়েছে। যাত্রীটি ছিল একজন মেয়ে।
কিছুক্ষণ পর আমরা ঘটনাস্থল থেকে চলে এলাম। আমাদের পাড়ায় ফিরে আসার পর আমি ও আমার বন্ধু ঘটনাটা নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা করলাম। আমরা মিলে রিকশাওয়ালার একটা নাম দিলাম, "তিন চাকার পাইলট।"
এই নাম দেওয়ার দুটো কারণ আছে—
প্রথম কারণ, রিকশা সাধারণত তিন চাকার হয়ে থাকে, তাই "তিন চাকার পাইলট"।
দ্বিতীয় কারণ, তিনি প্লেনের গতিতে রিকশা চালাচ্ছিলেন, তাই এমন নাম দেওয়া হয়েছে