বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যা ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিবেশকে ব্যাহত করছে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।

সংঘর্ষের কারণ:
- রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতা: বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতা প্রায়শই সংঘর্ষের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
- ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার: ছাত্র সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য প্রায়শই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
- ভিন্নমত দমনের প্রবণতা: বর্তমানে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে ভিন্নমত দমনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা সংঘর্ষের অন্যতম কারণ।
- প্রশাসনের দুর্বলতা: বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্বলতা এবং যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।
সাম্প্রতিক ঘটনা:
- খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট):
- কুয়েটে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
- এই সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
- সংঘর্ষের জেরে কুয়েটে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
- এই ঘটনার পর, "গোপন সংগঠন" নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও এই ঘটনার জের ধরে বিক্ষোভ হয়েছে।
- বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ১৫০ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে।
- বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষের প্রভাব:
- ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত: সংঘর্ষের কারণে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হয় এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
- শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি: সংঘর্ষের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।
- শিক্ষার মান হ্রাস: সংঘর্ষের কারণে শিক্ষার মান হ্রাস পায় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়।

প্রতিকার:
- রাজনৈতিক সদিচ্ছা: ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা প্রয়োজন।
- প্রশাসনের দক্ষতা: বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও দক্ষ ও সক্রিয় হতে হবে।
- ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতনতা: ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং তাদের মধ্যে সহনশীলতার মনোভাব তৈরি করতে হবে।
- আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা: ক্যাম্পাসে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এই সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
কিন্তু বাংলাদেশের ক্যাম্পাস গুলো ছাত্রদের মাঝে বুলেটের ফান্ডিং কে করছে? এটি বুঝতে হলে আপনাকে শাফিন রহমানের আর্টিকেলটি পড়তে হবে।