Posts

চিন্তা

" ছায়ার অন্তরালে (Behind the Shadows)"

February 23, 2025

Israt Jahan

Original Author Israt Jahan

Translated by Zara

24
View
প্রথম অধ্যায়: অদ্ভুত চিঠি রিমি একজন সফল লেখিকা। তার উপন্যাসগুলি পাঠকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে সে এক অদ্ভুত সমস্যায় পড়েছে। প্রতিদিন সকালে সে তার বাড়ির দরজায় একটি চিঠি পায়। চিঠিগুলিতে কোন লেখা থাকে না, শুধু একটি কালো ছায়ার ছবি। প্রথমদিকে রিমি এগুলোকে কেউর বদমাইশি ভেবেছিল। কিন্তু দিন যত যেতে লাগল, চিঠিগুলি ততই ভয়ঙ্কর হতে লাগল। একদিন সকালে, রিমি চিঠিটি খুলে দেখল, এবারও সেই কালো ছায়ার ছবি। কিন্তু এবার ছবির নিচে একটি লেখা ছিল: "আমি তোমার খুব কাছেই আছি।" রিমির গা শিউরে উঠল। সে পুলিশে খবর দিল। পুলিশ তদন্ত করল, কিন্তু কোন সূত্র পেল না। রিমি বুঝতে পারল, কেউ তাকে ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু কে? কেন? দ্বিতীয় অধ্যায়: অজানা অনুসরণকারী এরপর থেকে রিমি নিজেকে নিরাপদ মনে করতে পারল না। সে সব সময় অনুভব করত, কেউ তাকে অনুসরণ করছে। রাস্তায় হাঁটার সময়, বাজারে যাওয়ার সময়, এমনকি বাড়িতেও। সে কয়েকবার পিছন ফিরে তাকাল, কিন্তু কাউকে দেখতে পেল না। একদিন রাতে, রিমি তার বাড়ির জানালা দিয়ে বাইরে তাকাল। সে দেখল, রাস্তার对面ে একটি কালো ছায়া দাঁড়িয়ে আছে। ছায়াটি তার দিকে তাকিয়ে আছে। রিমি ভয়ে জানালা বন্ধ করে দিল। কিন্তু তারপরই সে শুনতে পেল, কেউ যেন তার দরজায় টোকা দিচ্ছে। রিমি দরজা খুলল না। সে পুলিশে ফোন করল। পুলিশ এসে দেখল, দরজায় কেউ নেই। কিন্তু দরজায় একটি কালো ছায়ার ছাপ ছিল। তৃতীয় অধ্যায়: অতীতের রহস্য রিমি বুঝতে পারল, এই ঘটনাগুলির পেছনে কোন রহস্য আছে। সে তার অতীতের দিকে তাকাল। অনেক বছর আগে, রিমির এক বন্ধু ছিল, নাম সায়মা। সায়মা এবং রিমি একসাথে কলেজে পড়ত। কিন্তু একদিন সায়মা অদ্ভুতভাবে নিখোঁজ হয়ে গেল। পুলিশ তদন্ত করল, কিন্তু সায়মাকে খুঁজে পেল না। রিমি মনে মনে ভাবল, এই ঘটনাগুলির পেছনে সায়মার কোন হাত আছে কি? কিন্তু সায়মা তো নিখোঁজ হয়ে গেছে। তাহলে কে এই চিঠিগুলি পাঠাচ্ছে? চতুর্থ অধ্যায়: গভীর রহস্য রিমি সায়মার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করল। সায়মার মা তাকে বলল, সায়মার নিখোঁজ হওয়ার আগে সে খুব ভয় পাচ্ছিল। সে বলেছিল, কেউ তাকে অনুসরণ করছে। কিন্তু কেউ তার কথা বিশ্বাস করেনি। রিমি বুঝতে পারল, সায়মার নিখোঁজ হওয়ার পেছনে কোন রহস্য আছে। সে সায়মার পুরনো ডায়েরি খুঁজে বের করল। ডায়েরিতে সায়মা লিখেছিল, সে একটি গোপন সংগঠনের সদস্য ছিল। এই সংগঠনটি অপরাধমূলক কাজ করত। সায়মা সংগঠনটি ছেড়ে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা তাকে হুমকি দিয়েছিল। রিমি বুঝতে পারল, সায়মার নিখোঁজ হওয়ার পেছনে এই সংগঠনটির হাত আছে। কিন্তু এখন তারা কেন তাকে ভয় দেখাচ্ছে? পঞ্চম অধ্যায়: মুখোমুখি একদিন রাতে, রিমি তার বাড়িতে একা ছিল। হঠাৎ সে শুনতে পেল, কেউ যেন তার দরজায় টোকা দিচ্ছে। সে দরজা খুলল। দরজায় দাঁড়িয়ে ছিল সায়মা। কিন্তু সায়মার চেহারা খুবই ভয়ঙ্কর। তার চোখ দুটি কালো গর্তের মতো। সে রিমিকে বলল, "তুমি আমাকে খুঁজে পেয়েছ। এখন তোমার পালা।" রিমি ভয়ে পিছিয়ে গেল। সায়মা বলল, "তুমি যদি আমার রহস্য উদ্ধার করতে চাও, তাহলে আমাকে অনুসরণ করো।" রিমি সায়মার পিছনে পিছনে চলল। তারা একটি পুরনো গুদামে গেল। গুদামের ভিতরে রিমি দেখল, সেখানে অনেক মানুষ বন্দী। তারা সবাই সেই গোপন সংগঠনের শিকার। সায়মা বলল, "এই সংগঠনটি মানুষদের অপহরণ করে তাদের দিয়ে অবৈধ কাজ করায়। আমি তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। কিন্তু আমি একা। তুমি কি আমাকে সাহায্য করবে?" রিমি রাজি হল। তারা মিলে সংগঠনটিকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করল। শেষ অধ্যায়: শেষ লড়াই রিমি এবং সায়মা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করল। তারা পুলিশকে সব তথ্য দিল। পুলিশ গুদামে অভিযান চালাল। সংগঠনটির সদস্যরা ধরা পড়ল। বন্দী মানুষদের মুক্ত করা হল। সংগঠনটির প্রধান ধরা পড়ল। সে ছিল রিমির এক পুরনো শত্রু। সে রিমিকে ভয় দেখাচ্ছিল, যাতে সে সায়মার রহস্য উদ্ধার করতে না পারে। সায়মা এবার শান্তি পেল। সে রিমিকে ধন্যবাদ জানাল। রিমি বুঝতে পারল, সায়মা আসলে মারা যায়নি। সে লুকিয়ে ছিল, সংগঠনটিকে ধ্বংস করার জন্য। রিমি এবং সায়মা আবার বন্ধু হয়ে গেল। তারা মিলে নতুন জীবন শুরু করল। কিন্তু তারা কখনও ভুলতে পারল না সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলোর কথা। শেষ।

Comments

    Please login to post comment. Login