অধ্যায় ১: অন্ধকারের সাক্ষী
রামজান মিয়া, এক সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ। সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়া তার নিত্যদিনের গল্প। স্ত্রী আয়শা খাতুন ও একমাত্র মেয়ে লামিসাকে নিয়ে তার ছোট্ট সুখের সংসার। কিন্তু তার সামান্য বেতনে সংসারের খরচ মেটানো কঠিন হয়ে পড়ছিলো।
এক রাতে, অফিস থেকে ফেরার পথে, সে এক অদ্ভুত দৃশ্যের সম্মুখীন হয়—এক লোক অন্ধকারের মধ্যে শয়তানের উপাসনা করছে!
রামজান মিয়া দূর থেকে তা লক্ষ্য করছিলো, কিন্তু হঠাৎই সেই লোক তার দিকে ফিরে তাকালো।
এক বিভীষিকাময় হাসি!
রামজান মিয়ার রক্ত হিম হয়ে গেলো। সে প্রাণপণে ছুটে পালিয়ে গেলো।
অধ্যায় ২: শয়তানের প্রলোভন
রাতে সে এক ভয়ংকর স্বপ্ন দেখে—সে দেখে সেই লোকটি তার মেয়ের গলা কেটে ফেলছে!
সে আতঙ্কে জেগে উঠে!
তার স্ত্রী কিছু বুঝতে পারে না, ভাবে জ্বরের প্রভাবেই হয়তো এসব হচ্ছে।
পরদিন অফিসে গিয়েও সে স্বাভাবিক থাকতে পারে না। বস তাকে ছুটি দিয়ে দেয়।
কিন্তু তার মনে প্রশ্ন জন্মায়—গত রাতে সে যা দেখেছে, তা কি সত্যি ছিলো?
উত্তর খুঁজতে সে আবার সেই জায়গায় ফিরে যায়।
এইবার পেছন থেকে কেউ তাকে ডাকলো।
"তোমাকে আমি কাল রাতেই দেখেছি!"
রামজান মিয়া পিছনে তাকিয়েই ভয়ে জমে গেলো।
লোকটি এবার হাসতে হাসতে বললো,
"তুমি কি জানতে চাও কিভাবে অঢেল টাকা পাওয়া যায়?"
রামজান মিয়া কিছুই বলল না, কিন্তু লোকটি বলে চললো,
"শয়তান তোমার অপেক্ষায় আছে! যদি তার উপাসনা করো, তবে যা চাও, তাই পাবে!"
এরপর সে বলে, "বাড়ি গিয়ে ভাবো। আমি এখানেই থাকবো!"
অধ্যায় ৩: লোভের ফাঁদ
রামজান মিয়া বাড়ি ফিরেই দেখে তার মেয়ে তার গলা জড়িয়ে ধরে বলছে,
"বাবা, তুমি খেয়েছো?"
তার পাশ থেকে আয়শা কেঁদে উঠে, "এতদিন ধরে বাজার হয়নি, বাসার ভাড়া দেয়া হয়নি, লামিসার ক্লাস পার্টির জন্য ১৫০০ টাকা লাগবে, কোথা থেকে টাকা আনবো?"
রামজান মিয়ার কানে তখনও বাজছে সেই লোকের কথা—"শয়তান তোমার অপেক্ষায় আছে!"তার স্ত্রী তাকে অন্য একটা রুম নিয়ে
ততাকে বোঝানোর চেষ্টা করলো,
"আপনি কেন এত চুপচাপ? আল্লাহর কাছে চাইতে হবে, তিনি নিশ্চয়ই পথ দেখাবেন!"
কিন্তু রামজান মিয়া রাগে ফেটে পড়লো,
"আল্লাহ, নামাজ, এসব রেখে দাও! আমার অন্য উপায় আছে! খুব শিগগিরই সব পেয়ে যাবো!"
তার স্ত্রীর চোখ বড় হয়ে গেলো। সে তাকিয়ে রইলো স্বামীর মুখের দিকে।
তার মনে হলো—এই মুখটা আগের মতো নেই… এখানে যেন কোনো শয়তানের ছাপ লেগে আছে! নাম: পাপের মূল্য
অধ্যায় ১: অন্ধকারের সাক্ষী
রামজান মিয়া, এক সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ। সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়া তার নিত্যদিনের গল্প। স্ত্রী আয়শা খাতুন ও একমাত্র মেয়ে লামিসাকে নিয়ে তার ছোট্ট সুখের সংসার। কিন্তু তার সামান্য বেতনে সংসারের খরচ মেটানো কঠিন হয়ে পড়ছিলো।
এক রাতে, অফিস থেকে ফেরার পথে, সে এক অদ্ভুত দৃশ্যের সম্মুখীন হয়—এক লোক অন্ধকারের মধ্যে শয়তানের উপাসনা করছে!
রামজান মিয়া দূর থেকে তা লক্ষ্য করছিলো, কিন্তু হঠাৎই সেই লোক তার দিকে ফিরে তাকালো।
এক বিভীষিকাময় হাসি!
রামজান মিয়ার রক্ত হিম হয়ে গেলো। সে প্রাণপণে ছুটে পালিয়ে গেলো।
অধ্যায় ২: শয়তানের প্রলোভন
রাতে সে এক ভয়ংকর স্বপ্ন দেখে—সে দেখে সেই লোকটি তার মেয়ের গলা কেটে ফেলছে!
সে আতঙ্কে জেগে উঠে!
তার স্ত্রী কিছু বুঝতে পারে না, ভাবে জ্বরের প্রভাবেই হয়তো এসব হচ্ছে।
পরদিন অফিসে গিয়েও সে স্বাভাবিক থাকতে পারে না। বস তাকে ছুটি দিয়ে দেয়।
কিন্তু তার মনে প্রশ্ন জন্মায়—গত রাতে সে যা দেখেছে, তা কি সত্যি ছিলো?
উত্তর খুঁজতে সে আবার সেই জায়গায় ফিরে যায়।
এইবার পেছন থেকে কেউ তাকে ডাকলো।
"তোমাকে আমি কাল রাতেই দেখেছি!"
রামজান মিয়া পিছনে তাকিয়েই ভয়ে জমে গেলো।
লোকটি এবার হাসতে হাসতে বললো,
"তুমি কি জানতে চাও কিভাবে অঢেল টাকা পাওয়া যায়?"
রামজান মিয়া কিছুই বলল না, কিন্তু লোকটি বলে চললো,
"শয়তান তোমার অপেক্ষায় আছে! যদি তার উপাসনা করো, তবে যা চাও, তাই পাবে!"
এরপর সে বলে, "বাড়ি গিয়ে ভাবো। আমি এখানেই থাকবো!"
অধ্যায় ৩: লোভের ফাঁদ
রামজান মিয়া বাড়ি ফিরেই দেখে তার মেয়ে তার গলা জড়িয়ে ধরে বলছে,
"বাবা, তুমি খেয়েছো?"
তার পাশ থেকে আয়শা কেঁদে উঠে, "এতদিন ধরে বাজার হয়নি, বাসার ভাড়া দেয়া হয়নি, লামিসার ক্লাস পার্টির জন্য ১৫০০ টাকা লাগবে, কোথা থেকে টাকা আনবো?"
রামজান মিয়ার কানে তখনও বাজছে সেই লোকের কথা—"শয়তান তোমার অপেক্ষায় আছে!"তার স্ত্রী তাকে অন্য একটা রুম নিয়ে
ততাকে বোঝানোর চেষ্টা করলো,
"আপনি কেন এত চুপচাপ? আল্লাহর কাছে চাইতে হবে, তিনি নিশ্চয়ই পথ দেখাবেন!"
কিন্তু রামজান মিয়া রাগে ফেটে পড়লো,
"আল্লাহ, নামাজ, এসব রেখে দাও! আমার অন্য উপায় আছে! খুব শিগগিরই সব পেয়ে যাবো!"
তার স্ত্রীর চোখ বড় হয়ে গেলো। সে তাকিয়ে রইলো স্বামীর মুখের দিকে।
তার মনে হলো—এই মুখটা আগের মতো নেই… এখানে যেন কোনো শয়তানের ছাপ লেগে আছে!
অধ্যায় ৪: শয়তানের দরজায়
ওই রাতে শে স্বপনে দেখল লোকটা র ছায়া টাকে ডাকছে আর হাসছে আর বলছে এতো কি ভাবটেসস? আয় আয় শয়তান তোর অপেক্ষয় যা চাবি তাই পাবি খালি মাথা নত কর
হঠাৎ তার ঘুম ভাঙল আর দেখল
রাত ২:৩০ বাজে।
রামজান মিয়া চুপচাপ উঠে দাঁড়ালো।
বাড়ির কেউ জানলো না, সে একা বেরিয়ে গেলো সেই জায়গায়।
সে পৌঁছে দেখে, সেই লোকটি দাঁড়িয়ে আছে, কালো পোশাক, আশেপাশে এক অদ্ভুত দুর্গন্ধ।
লোকটি এক গোপন পথ দিয়ে তাকে এক গুহার মধ্যে নিয়ে গেলো।
চারপাশে শুধু অন্ধকার, বিশাল এক শয়তানের মূর্তি, যার জিভ থেকে রক্ত ঝরছে!
চারপাশে ছড়িয়ে আছে কালো জাদুর জিনিসপত্র।
কেমন পচা মাংসের গন্ধ
লোকটি বললো, এই তো! এই সেই জায়গা যেখানে তুই যা চাবি তাই পাবি কেবল মাথাটা নত কর
শয়তান তোকে গ্রহণ করবে ।
এরপর বলল বস,
রামজান মিয়া নির্দ্বিধায় একটা গোল চক্করের মধ্যে বসল।
সে লোভে অন্ধ হয়ে গেছে!
লোকটি তার সামনে এক পাত্র রাখলো, বললো,
"এখানে তোমার রক্ত দিতে হবে!" রমজান মিয়া তার দিকে তাকিয়ে বলল তুমি যা বলবা তাই করব আমার টাকা লাগবে টাকা হাহা হাহা করে হাসতে লাগলো
সে এক ছুরি রামজান মিয়ার হাতে ধরিয়ে দিলো।
রামজান মিয়া এক মুহূর্তও ভাবলো না।
সে নিজের হাত কেটে দিলো! তার রক্ত পড়তেই
আচমকা চারো পাশ বাতাস ঘন হয়ে উঠল
মাটির নিচ থেকে যেন গর্জন শোনা গেল
মূর্তির চোখ জল জল করল
জিব্বা তা বড় হয়ে তার দিকে এগিয়ে আসলো
আর কে যেন বলল তোর চুক্তি সম্পন্ন হলো
চারপাশ কেঁপে উঠলো।
হঠাৎ তার চারদিক ঝাপসা হয়ে গেলো।
তার শরীর ঠান্ডা হয়ে গেলো।
সে জ্ঞান হারালো…
অধ্যায় ৫: নরকের মূল্য
চোখ খুলে দেখে, সে বাঁধা!
তার সামনে তার স্ত্রী আর মেয়ে!
তাদেরও বাঁধা হয়েছে!
তারা চিৎকার করছে, কাঁদছে!
আর সেই লোকটি শয়তানের পূজা করছে!
সে হো হো করে হেসে বললো,
"উস্তাদ! এই নাও, তোমার জন্য টাটকা তিনটা প্রাণ এনেছি! রক্ত পান করো, আমাকে শক্তি দাও!"
রামজান মিয়া কিছু বুঝে ওঠার আগেই, সে দেখে তার স্ত্রীর গলায় ছুরি চালিয়ে দেওয়া হলো!
"না!! না!! ছেড়ে দাও!!"
কিন্তু কিছুই শোনা হলো না।
তার স্ত্রী নিথর হয়ে পড়ে গেলো।
তার মেয়েও ভয়ে কাঁপছে, "বাবা! আমাকে বাঁচাও!"
কিন্তু সে কিছুই করতে পারলো না।
লোকটি এবার তার মেয়ের গলায় ছুরি চালালো!
তার চারপাশ রক্তে ভেসে গেলো।
রামজান মিয়ার শরীর অবশ হয়ে গেলো।
এইবার তার মুখে কোনো শব্দ নেই।
লোকটি হাসতে হাসতে তার দিকে এগিয়ে এলো,
"তুমি লোভ করেছিলে, তাই তোমাকে বেছে নিয়েছি! তোমাদের মতো লোকের জন্যই তো আমরা আছি!"
ছুরিটা এবার তার গলার কাছে এলো।
রামজান মিয়া ফিসফিস করে বলতে লাগলো,
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ… লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ…"
লোকটা হাসতে হাসতে বললো,
"এখন তওবা? এখন কি আর ক্ষমা পাওয়া যাবে?"
এক কোপে রামজান মিয়ার গলা কাটা পড়লো।
অন্ধকারে শুধু প্রতিধ্বনিত হতে থাকলো সেই বিকৃত হাসি…
শয়তানের হাসি।