রাত বাড়ছে, কিন্তু নীলার চোখে ঘুম নেই। মোবাইলের স্ক্রিনটা বারবার অন করে দেখছে, কিন্তু কোনো নোটিফিকে7শন নেই। প্রতিদিন ঠিক রাত ১১:৫৯-এ অর্ণব শুভরাত্রি বলত। আজ সে কিছুই বলল না কেন? নীলার বুকের ভেতর এক অজানা শঙ্কা দোলা দিতে লাগল।
স্মৃতির পর্দা উল্টে যায়। সাত মাস আগের এক সন্ধ্যা—ঢাকার এক ব্যস্ত কফিশপ। নীলা তখন টেবিলে বসে ক্যাপুচিনো আর একটা উপন্যাস নিয়ে ডুবে ছিল, হঠাৎ পাশের টেবিলে বসে থাকা ছেল চরিত্ররা বাস্তব জীবনে আসতে পারে?"
নীলা চমকে তাকাল। ছেলেটির চোখে কৌতূহল, ঠোঁটে হালকা হাসি।
"মানে?"
"মানে ধরুন, আপনি যদি কোনো গল্পের চরিত্র হতেন, তাহলে কোন গল্পের হতেন?"
নীলা হেসে বলল, "সেটা নির্ভর করছে গল্পটা কে লিখছে তার ওপর!"
অর্ণব হেসে ফেলল, "তা ঠিক। তবে আমি হলে আপনাকে রবীন্দ্রনাথের কোনো উপন্যাসের নায়িকা বানাতাম।"
সেদিনের সেই ছোট্ট কথোপকথন ধীরে ধীরে বন্ধুত্বে রূপ নেয়। অর্ণব ছিল স্বপ্নবাজ এক তরুণ, সাহিত্য ভালোবাসত, গান গাইত, মাঝে মাঝে কবিতা লিখত। নীলা ধীরস্থির, বাস্তববাদী, কিন্তু মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা রোমান্টিকতা অর্ণবের সাহচর্যে নতুন করে ফুটে উঠেছিল।