আজ কোনো গল্প না জীবন থেকে নেয়া সত্যি বলেন বা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে কিছু মুহূর্ত লিখব। আশা করি আপনাদের সাড়া পাবো.....
এখানে যে নাম ব্যবহার করছি সব কাল্পনিক
আর আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট এ জানাবেন তাহলে সামনে লিখাটি এগিয়ে নিবো।।।
মিহি সবার বড় ভাই বোনদের মধ্যে তার বাবা বিয়ে করে তাদের এক বিশেষ কারণে নানার বাড়ী রেখে শহরে থাকেন। মিহি আর রেনু দুই বোন তার মার সাথে থাকে গ্রামে। তখন আর ভাইবোন হয়ে পড়ে নি, ওরা দুই বোন একসাথে থাকে, মিহির থেকে রেনু ২ বছরের ছোট। কিন্তু খুব কষ্ট করে তাদের দিন পার করতে হচ্ছিল। প্রায় সময় ৩ থেকে ৪ দিন না খেয়ে থাকতে হতো। যখন অনেক খিদে পেতো পানি খেয়ে খেয়ে আর পারছে না, তখন লবণ আর পাতা খেতো।ওইদিকে তাদের বাবা এই নিয়ে ৩ টি বিয়ে করেছে, মিহির মা ফুরু ৩ নম্বর বউ আলম সাহেবের। এর মানে আলম সাহেব খারাপ মানুষ তা নয়। তিনি খুবই ভালো একজন মানুষ। তার মতো বিচক্ষণ মানুষ পাওয়া খুব দায়।কিন্তু তার ভাগ্যটা খুবই খারাপ বিয়ের ব্যাপারে তার প্রথম বউ মারা গেলো, সেই ঘরে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে আছে।এরপর যাকে বিয়ে করেছেন সে খুব খারাপ একজন মহিলা ছিলেন সেখানে একটা ছেলে হয়। আলম সাহেব জানতেন যে এই বউ সব কিছু নিয়ে চলে যাবে আর তাই হলো। তার চোখের সামনে দিয়ে সব হচ্ছে ,তারপর ও কোনো প্রতিবাদ জানায়নি। এরপর ফুরুকে বিয়ে করেন। তাকে বিয়ে করে জানতে পারলেন মেয়ে মানুষ ও ভালো হয় দুনিয়াতে। এই ভাবে তার বিয়ে করা।
কিন্তু ফুরুকে বিয়ে করে সাথে সাথে আনতে পারেন নি নিজের কাছে। ওই যে বললাম তার আরেক বউ সে তখনও তার কাছে ছিল, তার নাম রিব। রেবু খুবই খারাপ একজন মহিলা, তার মধ্যে কোনো ভালো কাজ নেই। সে আলম সাহেব এর আগের ঘরের ছেলে মেয়েদের সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করতেন। আর মাঝে মাঝে মিহি আর রেনু বাবার কাছে আসত। তখন দুই বোন খুব খুশি হতো। কেনই বা হবে না, বাবার কাছে আসলে ভালো খাবার খাওয়া যেত কোনো কষ্ট থাকতো না। কিন্তু সৎ মা ওদের বাবার সামনে তেমন কিছু বলতো না। তবে যখন আলম সাহেব থাকতো না তখন ওদের সাথে খারাপ আচরণ করত যা মেনে নেয়া কঠিন ছিল। তার পরও মিহি আর রেনু চুপ থাকতো ভালো খেতে পারত কম হলেও। তাছাড়া মিহি রেনু ছাড়া আর তিনটি ভাইবোন ছিল ওখানে। এবার যখন গ্রামে যাওয়ার দিন চলে আসলো মিহি আর রেনুর। ওদের মনটা খুব খারাপ হয়ে পড়ল......