Posts

নিউজ

ইন্টারন্যাশনাল বুকার প্রাইজের লংলিস্টে ফিলিস্তিনি লেখকের বই

March 1, 2025

নিউজ ফ্যাক্টরি

27
View

চলতি বছরের ইন্টারন্যাশনাল বুকার প্রাইজের লংলিস্টে জায়গা পেয়েছে ফিলিস্তিনি লেখক ইবতিসাম আজেমের লেখা উপন্যাস 'দ্য বুক অব ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স'। এটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন ইরাকি কবি ও উপন্যাসিক সিনান আন্তুন।   

২৫ ফেব্রুয়ারি বুকার প্রাইজ কর্তৃপক্ষ টুইটারে ইন্টারন্যাশনাল বুকার প্রাইজের লংলিস্ট প্রকাশ করে। প্রতিবারের মত এবারও এই তালিকার জন্য ১৩টি বই বাছাই করা হয়েছে। এর মধ্যে দ্য বুক অব ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স উপন্যাসটিও রয়েছে।

এটি মূলত আরবি ভাষায় লেখা। ২০১৪ সালে প্রকাশিত এই বইটি ইবতিসাম আজেমের দ্বিতীয় উপন্যাস। এটি ২০১৯ সালে ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়। বুকার প্রাইজের বিচারকরা বলেছেন, দ্য বুক অব ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স উপন্যাসে সমসাময়িক ফিলিস্তিনের একটি অবিস্মরণীয় ঝলক দেখতে পাওয়া যায়।

দ্য বুক অব ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স একটি ফ্যান্টাসি উপন্যাস। এই উপন্যাসে লেখক এমন একটি বিশ্ব কল্পনা করেছেন যেখানে ফিলিস্তিনিদের কোনো অস্তিত্ব নেই। 

এই উপন্যাসের নায়ক আলা একজন ফিলিস্তিনি যুবক। তিনি তার দাদীর মৃত্যুর কাহিনী বর্ণনা করেন। তার দাদী ১৯৪৮ সালের নাকবা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন, কিন্তু তার জন্মস্থান জাফা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এদিকে আলার বন্ধু এরিয়েল, একজন উদারপন্থী জায়োনিস্ট। এরিয়েল পশ্চিম তীর এবং গাজায় ইসরায়েলের সামরিক দখলের সমালোচনা করেন। তবে তিনি ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতি বিশ্বস্ত। একদিন এরিয়েল জেগে উঠে দেখেন, সমস্ত ফিলিস্তিনিরা হঠাৎ করে অদৃশ্য হয়ে গেছে। তিনি তাদের সম্মিলিত অন্তর্ধানের তদন্ত শুরু করেন। 

ইবতিসাম আজেম ইসরায়েলের জাফায় জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু পরে পড়াশোনা করতে জার্মানিতে এবং তারপরে নিউইয়র্কে চলে যান। তিনি বলেন, আমার নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এই বইটি লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। 

উল্লেখ্য, ৮ এপ্রিল ইন্টারন্যাশনাল বুকার প্রাইজের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং ২০ মে লন্ডনে একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২৫ সালের বিজয়ী লেখকের নাম ঘোষণা করা হবে।    

সূত্র: দ্য ন্যাশনাল    

  

Comments

    Please login to post comment. Login