শক্তির শুরু
নয়ন ডিভাইসটা হাতে নিয়ে এক মুহূর্ত চুপ করে রইল। মনে প্রশ্ন ঘুরছিল—এটা কি সত্যিই তার জীবন বদলে দেবে, নাকি কোনো বিপদে ফেলবে?
লোকটা ঠান্ডা গলায় বলল, "সময় নষ্ট কোরো না। যদি সত্যিই জীবন বদলাতে চাও, তবে এটা পরে নাও। ভয় পেলে এখানেই থেমে যাও।"
মনি উদ্বিগ্ন চোখে নয়নের দিকে তাকাল। "ভাইয়া, ভাবনা-চিন্তা করে নিও। যদি এটা বিপজ্জনক হয়?"
নয়ন গভীরভাবে শ্বাস নিল। জীবনের এই একঘেয়েমি আর কষ্ট থেকে বেরোনোর একটা সুযোগ—এটা হাতছাড়া করতে মন চাচ্ছিল না। সে শক্ত করে ডিভাইসটা হাতে নিল, "আমি তৈরি।"
ডিভাইসটা হাতে পরার সঙ্গে সঙ্গেই নয়নের শরীরে হালকা একটা শিহরণ বয়ে গেল। একটা গরম স্পর্শ তার হাতে ছড়িয়ে পড়ল। ডিভাইসের মাঝখান থেকে এক ঝলক নীল আলো বেরিয়ে এল, আর তার চোখের সামনে এক অদ্ভুত স্ক্রিন ভেসে উঠল।
"অ্যাক্টিভেশন কমপ্লিট!"
নয়ন চমকে গেল। "এটা... এটা কী?"
লোকটা সন্তুষ্টির হাসি হেসে বলল, "এটা শুধু একটা যন্ত্র নয়। এটা তোমার জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্তকে শক্তিশালী করে তুলবে। কিন্তু সাবধান! ভুল সিদ্ধান্ত নিলে ভয়ংকর ফলও পেতে পারো।"
"কীভাবে কাজ করে এটা?" নয়ন প্রশ্ন করল।
লোকটা ব্যাখ্যা করল, "ডিভাইসটা তোমার চিন্তা আর ইচ্ছাশক্তি শনাক্ত করে। তুমি যা চাও, সেটা অর্জন করার সুযোগ তৈরি করবে। কিন্তু একটাই নিয়ম—তোমাকে যা চাইবে, তার জন্য পুরো মন দিয়ে চেষ্টা করতে হবে।"
মনি সন্দেহের চোখে বলল, "আর যদি আমরা ব্যর্থ হই?"
লোকটা গম্ভীর হয়ে বলল, "তাহলে যা আছে, সেটাও হারাবে।"
নয়ন বুঝতে পারল, এটা কোনো সাধারণ খেলা নয়। এটা জীবন বদলানোর একটা বাস্তব সুযোগ। কিন্তু ঝুঁকিও কম নয়।
সে কি এই যন্ত্রের শক্তি ব্যবহার করে তার জীবন বদলাতে পারবে? নাকি এই অজানা শক্তি তাকে আরও গভীর বিপদে ফেলবে?
লোকটা বিদায় নেওয়ার আগে বলল, "আগামী সাত দিনে তোমার প্রথম পরীক্ষা শুরু হবে। প্রস্তুত থেকো!"
নয়ন আর মনি একে অপরের দিকে তাকাল।
মনি বলল, "ভাইয়া, আমাদের এই খেলায় জিততেই হবে!"
নয়ন দৃঢ়ভাবে মাথা নাড়াল। "হ্যাঁ, আমি যা চাই, সেটা আমি পাবোই।"
---
পরবর্তী পর্বে:
নয়নের প্রথম পরীক্ষা কী?
ডিভাইসের শক্তি কি সত্যিই তার পক্ষে কাজ করবে?
অজানা বিপদ কি অপেক্ষা করছে তাদের জন্য?