**গোয়াল ঘরের আন্দোলন**
একটি ছোট গ্রামে গোয়াল ঘর ছিল গ্রামের প্রাণকেন্দ্র। গরুগুলো ছিল গ্রামবাসীর সম্পদ, তাদের দুধ, গোবর এবং শ্রম দিয়ে গ্রামের অর্থনীতিকে চালাত। গোয়াল ঘরের মালিক ছিলেন হরিদাস, একজন ধনী জমিদার। তিনি গরুগুলোর দেখভাল করতেন, কিন্তু গরুগুলোর শ্রমের ফল ভোগ করতেন একাই।
একদিন গরুগুলোর মধ্যে একটি গোপাল নামের বলিষ্ঠ ষাঁড় জেগে উঠল। সে গরুদের একত্রিত করে বলল, "আমরা কেন হরিদাসের জন্য এত পরিশ্রম করি? আমরা কেন আমাদের শ্রমের ফল নিজেরা ভোগ করি না? আমাদের দুধ, গোবর, সবই তো হরিদাস নিয়ে যায়। এটা অন্যায়!"
গরুগুলো গোপালের কথায় সায় দিল। তারা একত্রিত হয়ে গোয়াল ঘরের আন্দোলন শুরু করল। তাদের দাবি ছিল সরল: "আমাদের শ্রমের ফল আমাদেরই প্রাপ্য। আমরা আমাদের অধিকার চাই!"
হরিদাস প্রথমে এই আন্দোলনকে পাত্তা দিল না। কিন্তু গরুগুলো যখন একসাথে দুধ দেওয়া বন্ধ করল, গোয়াল ঘর পরিষ্কার করা বন্ধ করল, তখন হরিদাসের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করল। তিনি গরুগুলোর কাছে আপস করতে বাধ্য হলেন।
গরুগুলো তাদের দাবি আদায় করে নিল। এখন থেকে তারা তাদের শ্রমের ফল নিজেরা ভোগ করত, এবং হরিদাসকে একটি ন্যায্য অংশ দিত। গোয়াল ঘর আবারও প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠল, কিন্তু এবার সেখানে ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
**মূল বার্তা:**
"গোয়াল ঘরের আন্দোলন" গল্পটি শোষণ, অধিকার এবং সংঘটিত হওয়ার শক্তি সম্পর্কে। এটি দেখায় যে, যখন শোষিতরা একত্রিত হয় এবং তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করে, তখন ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।