শহরের প্রান্তে ছোট্ট একটি গ্রাম, নাম তার নিশ্চিন্তপুর। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে এক শান্ত নদী, যার নাম মধুমতি। সন্ধ্যা নামতেই গ্রামের রাস্তাগুলো জনশূন্য হয়ে যেত। লোকেরা বিশ্বাস করত, রাতের বেলা নদীর পাশে কোন অশুভ শক্তি ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু কেউ কখনও তা দেখেনি, শুধু গল্পই শুনেছে।
একদিন রাতে, গ্রামের যুবক আরিফ নদীর পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। তার মনে হচ্ছিল, পিছনে কেউ তাকে অনুসরণ করছে। সে পিছন ফিরে তাকাতেই দেখে, একটি কালো ছায়া দ্রুত অন্ধকারে মিলিয়ে গেল। আরিফের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল। সে দৌড়ে বাড়ি ফিরে এল।
পরদিন সকালে গ্রামে খবর ছড়িয়ে পড়ল, আরিফ নিখোঁজ। তার বাড়িতে কেবল তার জামা-কাপড় ছড়ানো ছিল, কিন্তু আরিফের কোন চিহ্নই পাওয়া গেল না। গ্রামবাসীরা ভয়ে কেঁপে উঠল। তারা জানআরিফের নিখোঁজ হওয়ার পর গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। কেউ রাতে বাইরে বের হতে চাইত না। কিন্তু একদিন রাতে, গ্রামের মেধাবী মেয়ে তানিয়া নদীর পাশে যেতে বাধ্য হল। তার ছোট ভাই রাতের বেলা নদীর দিকে ছুটে গিয়েছিল, আর ফিরে আসেনি।
তানিয়া নদীর পাশে গিয়ে দেখে, একটি আলো নদীর জলে ভেসে বেড়াচ্ছে। সে কাছে গেলেই আলোটি দূরে সরে যেতে লাগল। তানিয়া অনুসরণ করতে গিয়ে দেখে, নদীর ধারে একটি গুপ্ত পথ আছে। সে সেখানে প্রবেশ করতেই দেখে, একটি পুরনো মন্দির। মন্দিরের ভিতরে সে আরিফ এবং তার ভাইকে খুঁজে পায়, কিন্তু তারা যেন কোন অদ্ভুত ট্রান্সে আচ্ছন্ন।
তানিয়া বুঝতে পারে, এই মন্দিরে কোন অশুভ শক্তি আছে, যা মানুষকে গ্রাস করে। সে মন্দিরের রহস্য উন্মোচন করতে বদ্ধপরিকর হয়। কিন্তু সময় খুব কম। কারণ, পরের পূর্ণিমার রাতে এই শক্তি আরও শক্তিশালী হবে, এবং তখন কেউই তাকে থামাতে পারবে না...
, এই নদীর পাশে কিছু একটা আছে, যা তাদের জীবনকে গ্রাস করতে চায়।
(চলবে...)??