যে ধর্ম চর্চা মানুষকে শোষণ করতে শিখায়,
তার চর্চায় ভুল আছে
যে কর্ম মানুষকে সফলতা এনে দেয় না,
সে কর্মে আত্মরিকতার অভাব আছে
যে মানুষ নিজেকে চিনে না,
তার চিনা জানায় ত্রুটি আছে
যে মানবতা মানুষকে সম্মান করতে জানে না,
তার মনুষ্যত্বে ঘাটতি আছে
যে ব্যবহার নিজেকে সন্তুষ্ট করে না,
সে ব্যবহারে লুকোচুরি আছে
যে কথা মানুষকে কষ্ট দেয়,
সে কথায় অহংকার আছে
যে সহিষ্ণুতা বিস্ফোরণ হয়ে আসে,
তাতে কুটিলতা ছিল
যে প্রেমে লোক দেখানো উচ্ছ্বাস ছিল,
তাতে হীন নিচু মানের স্বার্থ ছিল
যে মিথ্যা কে মিথ্যা বলতে ভয় করে,
সে অন্যায়কে প্রশ্রয় দিল
যে অত্যাচারীকে জালিম বলতে নিচু স্বর হল,
সে তার সহচর হয়ে ফুটে উঠলো
যেই শিক্ষা মানুষকে অর্থ লোভী করে,
সেই শিক্ষায় গাফিলতি ছিল
যে পিতা সন্তানকে, মানুষের জন্য ভালোবাসা শিক্ষা দেয় না,
সে নিজের জন্য ও ভালোবাসা আশা করতে পারে না
যে সমাজ মানুষকে স্বাধীনতার সঠিক ব্যবহার শিখায় না,
সে সমাজে স্বেচ্ছাচারি জন্ম নিবেই
যে ক্রোধ নিজের স্বার্থের জন্যে ছিল,
তার নিচে অনেক ধ্বংস লিখা হবে
যে বিবেকে অনুশোচনা নেই,
সে লুটের রাজা হবে, অন্যায়ের অধিপতি হবে
যে পাপে দগ্ধ হবে না
, সে জালিমের হিংস্র থাবা হয়ে ফিরে আসবে
যে বিশ্বাসের মর্যাদা রাখে না,
সে নিজেকেও বিশ্বাসী করতে পারবে না
যে পরশ্রীতে আসক্ত হবে,
সে নিজের নিদ্রায় কুঠারাঘাত করবে
যে ঠকিয়ে আনন্দ পাবে,
সে জিতে জিতে হেরে যাবে নিজের জগতে
যে বিদ্বান প্রতারণাকে যোগ্যতা মনে করে,
তার জীবনে মূল্যবোধের সঞ্চয়ে প্রবঞ্চনা ছিল
যে আবিষ্কার মানব মুক্তির পথ হতে পারে না,
সে আবিষ্কার ভীতি প্রদর্শনের হাতিয়ার হবে
যে জন্ম নতুন পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করবে, রক্তে লাল বিভৎসতায় ভাসিয়ে দিবে,
সেই জন্মে কলঙ্ক ছিল
যে বাণী মিথ্যায় পূর্ণ,
তাতে মুক্তি সম্ভব হবে না কিয়ামত পর্যন্ত
যে আশা ভ্রমের সুন্দরে রঙিন , মুগ্ধতায় উজ্জ্বল ;
সে আশায় পথ হারাবার ভয়ে পূর্ণ
যে মনে ক্ষমা নেই,
সে প্রতিশোধের আগুনে দগ্ধ নিকষা দেবী
যে ভুলে মানব পূর্ণ, যে ভাবে হয় মন সংকীর্ণ
সে সব মুক্ত হয়ে, মধ্যম জগতে শান্তি পূর্ণ।
ডাঃমোঃ তরিকুল ইসলাম
সহকারী রেজিস্ট্রার
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
তারিখঃ ১০/০৯/২৪