[গল্পটি কাল্পনিক, তাই বাস্তবতা বা ধর্মের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।]
#দ্যা_গ্রেটেস্ট_সুপ্রিম_বিয়িং
#ফ্যান্টাসি_সিরিজ
#WRITER :::Mehedi hasan
#পর্বঃ- ০১
সৃষ্টির শুরুটা যেমন একটা রহস্য তেমনি এর সৃষ্টিগুলো ও একটি রহস্যের জাল। এই সৃষ্টির মধ্যে লক্ষ লক্ষ গ্রহ, নক্ষত্র, তারামণ্ডল, গ্যালাক্সি রয়েছে। এসব মিলিয়ে তৈরি হয় একটি ইউনিভার্স। আর লক্ষ লক্ষ ইউনিভার্স নিয়ে তৈরি হয় একটি মাল্টিভার্স এবং তারই সাথে লক্ষ লক্ষ মাল্টিভার্স মিলে তৈরি হয় একটি সুপারমাল্টিভার্স।
সৃষ্টির শুরুতেই আলোর সাথে অন্ধকারের সৃষ্টি হয়। আর এই অন্ধকারকে নিজের মধ্যে ধারণ করে মহাশক্তিধর হয়েছে অন্ধকারের কিং লুসিফার। লুসিফার এই নামটাই সকল পাপাচার, কলুষতা, অন্যায়ের কালো শক্তির অসীম স্রোত যা কখনও শেষ হবার নয়। লুসিফার এই সৃষ্টির মধ্যে নিজের আধিপত্য বিস্তারের জন্য তৈরি করে তার অসংখ্য অনুচর। তার অন্ধকার চেয়ে যায় বিভিন্ন ইউনিভার্সে। কিন্তু একটা এমন ইউনিভার্স ছিল যার মধ্যে জন্ম নিতে চলেছে অন্ধকারের রাজ্যকে ধুলিসাৎ করতে আলোর শক্তি দ্যা গ্রেটেস্ট সুপ্রিম বিয়িং। যা সৃষ্টির শুরুতে কখনও ঘটেনি কিন্তু প্রকৃতি তাকে ডেকেছে সৃষ্টিকে অন্ধকারের কলুষতা থেকে সবাই মুক্ত করতে। হি ইজ কামিং টু স্পিরিট ইউনিভার্স।
হাতে একটি গোল্ডেন লাঠি নিয়ে যা কোনো লোহা বা অন্য কি ধাতু দিয়ে তৈরি বলতে পারছিনা তাই নিয়েই দাড়িয়ে আছি। সামনে অন্ধকারাবৃত এক চেহারা দেখা যাচ্ছে। যার মুখে রয়েছে বিদঘুটে হাসি। সে তার হাতে থাকা সোর্ড দিয়ে একটার পর একটা স্লাইড দিয়ে দিয়ে যাচ্ছে ২১ বছরের একটি যুবকের বুকে। যুবকটি তার সর্বশক্তি দিয়ে প্রত্যেকটি আঘাত প্রতিহত করছে। যুককের রক্তের ফোঁটা যেখানেই পড়ছে সেখানেই সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মহাকাশ পথে এক আলোর যুবক আর অন্ধকারে ডাকা একব্যক্তির যুদ্ধ বারবার প্রতিনিয়ত দেখছে। কখনও এ হতে জেগে উঠতে পারে নি কিন্তু আজ যেন কেমন মনে হচ্ছে আজ সে জেগে উঠতে পারবে। সে কিছুটা ঠান্ডার ছোয়া পেল। কেউ যেন তাকে ডাকছে। আজ প্রথম কারো ডাক শুনতে পাচ্ছি। কত যুগ ধরে যে এমন আছি বলতে পারছি। তখনই হঠাৎ কেউ বলছে....
"এরি! এরি! তুই কি কখনও উঠবি না। এই মাকে একবার কি মা বলে ডাকবি না। তোকে নিয়ে আমি কত স্বপ্ন দেখেছি তা কি তুই পূরণ করবি না। এই এরি! উঠ, তোর এই মায়ের কষ্ট কি তুই দূর করবি না। তোকে ছাড়া আমার আর কে আছে তুই কথা বল এরি।"
তারপরেই মহিলাটি কান্না করতে লাগল। তার চোখের অশ্রু তার চোখ বেয়ে ঐ মায়ের ছেলের মুখের উপরে পরছে। তার চোখের জল বৃথা যায় নি। তার ছেলেটি ধীরে ধীরে চোখ খোলার চেষ্টা করছে। মিটমিট করে খোলে দেখে তার মাথার পাশে বসে এক মহিলা অনবরত কেঁদে যাচ্ছে আর এরি! এরি! বলে চিৎকার করছে। আমার মনে হল আমার নাম এরি মনে হয়,তিনি কে? আর কেনই বা আমাকে এরি বলছে তা বুঝতে পারছি না আর আমি কিভাবে এখানে এসেছি কিছুই বুঝতে পারছি না। তখন আমি তার কান্না থামাতে তার মাথায় হাত বুলাচ্ছি, পরেক্ষণেই সে তার কান্না বন্ধ করে দিয়ে আমার দিকে চেয়ে আছে। তিনি কিছু বলছেন না দেখে আমিই কথা বলতে শুরু করলাম।
এরিঃ- এই যে আপনি কান্না করছেন কেন? আর আমাকেই বা জড়িয়ে ধরছেন কেন? আর আপনিই বা কে? আমি কোথায় আছি? আমাকে কি কিছু বলবেন দয়া করে?
তিনি কোনো কথা না বলে আমাকে জড়িয়ে ধরে আবারও কান্না করে দিলেন। আমি তাকে সরানোর চেষ্টা করছিলাম কিন্তু শরীর দূর্বল হওয়ায় কোনো কিছু সম্ভবপর হলো না। তাই আর না চেষ্টা করে তাকে ভালো করে দেখতে লাগলাম। তার চেহারাটা ফর্সা, গোলগাল মুখশ্রী, চোখগুলো কান্না ভেজায় লাল হয়ে রয়েছে। শরীরটা জীর্ণ ও দূর্বলতায় কিছুটা মলিন চেহারা দেখা যাচ্ছে। তখনই তিনি মাধা তুলে কথা বলতে শুরু করলেন।
"আমি তোমার মা এলিনা সিলভাস। তুমি আমার ছেলে এরি সিলভাস।"
এরিঃ- (অবাক হয়ে) আপনি আমার মা? আর আমি এরি সিলভাস। কিন্তু আমার তো কিছু মনে পড়ছে না। আমিই বা কে কিছুই জানি না।
"তুমি কে? তা আমি তোমাকে সব বলব। আজ অনেক বছর পর তোমার সাথে কথা বলতে পারছি। তোমার যখন জন্ম হয়েছে তা ২১ বছর আগের ঘটনা। সেদিন আমার প্রশব বেদনায় চিৎকার করছিলাম। তোমার বাবা কিং এরিস সিলভাস বাহিরে রাজগুরু কে নিয়ে এদিক ওদিক ছুটছিল। নিধারুণ প্রশব বেদনার পরে তোমাকে আমি জন্ম দিয়েছিলাম। কিন্তু কষ্টের ছোঁয়া পরেক্ষণেই ঘিরে ধরল। তুমি জন্ম নিলে মৃত হয়ে। আমি তো তোমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পরেছিলাম। কিন্তু তোমার বাবার কাছে মৃত সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার প্রস্তাব যাওয়ার পরেই তিনি আমাকে নানা ধরণের কথা বলেছেন। তোমাকে দাফন করতে নিতে যেতে চেয়েছিল কিন্তু আমি তা হতে দেই নি। আমার মন বলছিল তুমি আমাকে এখনই উঠে মা বলে ডাকবে। তোমার বাবা আমাকে তার রাজ্য হতে বের করে দেই। আমি দূর্গম জঙ্গলের পথে হাঁটতে পা বাড়ায় তখনই আমাদের রাজগুরু সামনে আসলেন।
রাজগুরুঃ- রাণীমা আপনার সাথে প্রিন্স সম্পর্কে কিছু কথা বলার আছে আমার।
এলিনাঃ- আর কি আছে শোনার। সবই তো শেষ সন্তান জন্ম নিল মৃত। একজন স্বামী ত্যাগ স্ত্রী, রাজ্য ত্যাগ রাণীর কি আছে শোনার। এখন শুধু এই মৃত সন্তানকে নিয়েই বাকি জীবন পার করে দিব।
রাজগুরুঃ- প্রিন্স মৃত নয়।
এলিনা রাজগুরুর মুখে তার সন্তান মৃত নয় শুনে অবাকের দৃষ্টিতে চেয়ে রইল। তাই রাজগুরু আবার বলতে শুরু করল।
রাজগুরুঃ- প্রিন্স মৃত জন্ম নেই নি। শুধু তার দেহের জন্ম হয়েছে এবং তার সোল এখনও সম্পূর্ণ হয় নি ভিতরে।
এলিনাঃ- কি বলছেন গুরুজি? আমার ছেলে মৃত নয় তো কি? সে কোনো চিৎকার করছে না কোনো নড়াচড়া নেই তাহলে সে কি মৃত নয়। তার প্লাস রেইট তো গণনা করা যাচ্ছে না।
রাজগুরুঃ- না রাণীমা প্রিন্স মরে নি। কিন্তু তার জন্মটা একটু অদ্ভুদভাবে হয়েছে। এ সম্পর্কে আমি বেশিকিছু জানি না তবে এটা জানি তিনি মৃত নন। তিনিই শীঘ্রই জেগে উঠবেন। তার জন্ম হয়েছে অন্ধকারকে নাশ করতে।
এলিনাঃ- গুরুজি, আমার ছেলের এমন অদ্ভুদ জন্ম হওয়ার কারণ কি? সে কখন জেগে উঠবে?
রাজগুরুঃ- তার এমন জন্ম হওয়ার কারণ কি আমি জানি না। তবে আমার গুরুজি বলেছিল এমন এক সময় আসবে যখন অন্ধকার চারদিক হতে চেয়ে যাবে তখন এক অদ্ভুদ শিশুর জন্ম হবে। যে কোনো নড়াচড়া করবে না,তার চোখ খুলবে না, কোনো কথা বলবে না, তার একটি ইন্দ্রিয় বাদে সবকিছুই বন্ধ থাকবে। আর সেই এই অন্ধকারকে দূর করতে আলোর দিশা হয়ে আমাদের পথ দেখাবে। তখন আমার গুরুজিকে আমি প্রশ্ন করেছিলাম তার কোন ইন্দ্রিয় শক্তি খোলা থাকবে? তখন তিনি বলেছিলেন ঐশ্বরিক কর্ণ ইন্দ্রিয় খোলা থাকবে, সে সব শুনতে পারবে এবং সবকিছু শ্রবণ করবে। আর আমি যখন প্রিন্সকে দেখেছিলাম তখন তার সব ইন্দ্রিয় বন্ধ থাকলেও তার ঐশ্বরিক কর্ণ ইন্দ্রিয় জাগ্রত ছিল যা আমার গুরুজির ভবিষ্যৎ বাণীর সাথে হুবুহু মিল রয়েছে। তাই আমি বলেছি প্রিন্স জীবিত আছেন।
এলিনাঃ- এই শিশু বয়সে কি করে ঐশ্বরিক কর্ণ খোলা থাকতে পারে? সে তো একজন সাধারণ মানুষ।
রাজগুরুঃ- রাণীমা, আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন আমি বলছি প্রিন্স সাধারণ কেউ নয় এবং তার জন্মও সাধারণ নয়। তাকে লোকচক্ষুর আড়ালে আপনাকে লালিত করতে হবে। এবং সঠিক সময়ে তিনি জেগে যাবেন। তাকে প্রকৃতি দেবী ডেকেছেন। তাই তাকে প্রকৃতির মাঝেই লালনপালন করুন। আমি মাঝে মাঝে এসে দেখে যাব।
তারপরে গুরুজিকে ধন্যবাদ দিয়ে এই ভয়ংকর জঙ্গলে তোকে নিয়ে বসবাস শুরু করি। তুই আজ ২১ বছর পর জাগ্রত হয়েছিস।
এরি নিজে নিজে ভাবতে লাগল সে আসলে কে? যে মহিলাটি তার সামনে বসে আছেন সে নিজেকে আমার মা বলে দাবি করছে। এরি কিছুক্ষণ চিন্তা করে তার স্মৃতিপট থেকে সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেল। এলিনা সিলভাস আসলেই তার মা। আজ পর্যন্ত যা কিছু ঘটেছে তার ঐশ্বরিক কর্ণ তা শ্রবণ করেছে। তাই এরি সহজেই সবকিছু জানতে পেরেছে। তবে ঐশ্বরিক কর্ণের ব্যবহার সে কিভাবে জানল তা এখনও ভেবে পাচ্ছে না। তাই এখন সে এসব কিছু বাদ দিয়ে দিল।
★ডাউন ফ্লাই এরিয়া★
একজন বৃদ্ধ লোকের সামনে প্রায় ১৮ বছরের এক যুবক ধ্যানে বসে আছে। ঐ ছেলের মাথায় বিভিন্ন প্রশ্নের ছড়াছড়িতে তার ধ্যানে মন বসাতে সমস্যা হচ্ছে। তাই তার প্রশ্ন হতে বের হওয়ার জন্য বৃদ্ধ লোকটিকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করল যুবক আবির।
আবিরঃ- মাস্টার, আমার মাথায় আবার একই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই প্রশ্নের উত্তর না পেলে কোনো কাজে মন বসাতে পারব না। তাই আমার এই প্রশ্নের উত্তর দিন।
মাস্টারঃ- হুম, বল কি জানতে চাও?
আবিরঃ- আপনি বলেছিলেন ১৮ বছর পূর্ণ হলে আমি এখান হতে বের হতে পারব, কিন্তু এখনও আমাকে বের হতে দিন নি। না কি আপনি শয়তানের অনুচরদের ভয় পান। তাই নিজেও বের হচ্ছেন না আর আমাকেও বের হতে দিচ্ছেন না।
মাস্টারঃ- তোমার সময় হয়েছে বের হবার। তুমি আমায় অনেকবার প্রশ্ন করেছিলে তুমি কিভাবে এখানে এলে আর তোমার শক্তি এত বেশি কেন? এই অদ্ভুদ শক্তি কার থেকে পেয়েছো? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবার সময় হয়েছে তোমার।
আবিরঃ- তাহলে মাস্টার এখনই উত্তর দিন আমায়। আমি কখনও আমার মা-বাবা কে দেখি নি। তারা কে বা কারা তা জানি না। আমি আজ সবকিছুর উত্তর জানতে চাই।
মাস্টারঃ- তোমার মা-বাবা কে? এটা খুবই ছোট প্রশ্ন। তবে তোমাকে কেন এতিম করে পালন করা হয়েছে এটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। তোমার জীবনের সকল রহস্যময় প্রশ্নের উত্তর নিয়ে সে এসে পড়েছে।
আবিরঃ- মাস্টার, কে এসে পড়েছে? যে আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। সে কোথায় আছে বলেন আমি তার কাছে গিয়েই সব জানব।
মাস্টারঃ- আবির, তুমি নিজের সম্পর্কে যতটুকু জান বা জানতে চাও তার থেকেও বেশি কিছু সে তোমাকে জানাবে। তোমাকে আজ আমি শুধু একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব। তাই ভেবে চিন্তে প্রশ্নটা করবে।
আবির ভাবতে লাগল এমন কি প্রশ্ন করবে যার মাঝে তার সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবে। আবির খুবই বুদ্ধিমান ছোটকাল হতে। তাকে মাস্টারই লালনপালন করেছে। সে কখনও মা-বাবা কে দেখে নি। তার মাঝে অদ্ভুদ এক ধরণের শক্তি আছে যা এই ইউনিভার্সে কারও মাঝে নেই যা তার মাস্টার বলেছে। তাই সে ভেবে একটা প্রশ্ন সিলেক্ট করল।
আবিরঃ- মাস্টার, আমার এই অদ্ভুদ শক্তি আমি কার থেকে পেয়েছি তার পরিচয় জানতে চাই।
মাস্টারঃ- আবির, তুমি আজ বুদ্ধির একধাপ এগিয়ে গেছ। তোমার প্রশ্ন শুনে আমি খুবই আনন্দিত হলাম। তুমি যার হতে এই অদ্ভুদ শক্তি পেয়েছ সে এই ইউনিভার্সে জাগ্রত হয়েছে। তার পরিচয় আমি তোমাকে দিতে পারব না। তবে এইটুকু বলতে পারি যে এখান হতে তোমাকে বের হওয়ার অনুমতি এজন্যই দিচ্ছি যে তার তোমাকে প্রয়োজন এবং তোমারও তার প্রয়োজন। তুমি তাকে খুঁজে বের করবে এবং তাকে নিজের মাস্টার বানিয়ে নিজের অদ্ভুদ শক্তিকে কন্ট্রোল করবে। তোমার এই শক্তির স্রোত তিনি নিজেই। তুমি তার সাথে দেখা করলে তোমার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবে।
আবিরঃ- মাস্টার, আমি তাকে কিভাবে খুঁজে পাব আর তাকে কিভাবে চিনব?
মাস্টারঃ- তোমাকে আমি সব শিখিয়েছি এই ইউনিভার্সে কিভাবে বাঁচতে হবে। কিন্তু সে তোমাকে ঐ শয়তানের অনুচরকে কিভাবে মারতে হয় তা শিখাবে যা আজ পর্যন্ত কেউ পারে নি। তুমি তার কাছাকাছি থাকলেই তোমার ভিতরে থাকা অদ্ভুদ শক্তি তার মালিককে নিজেই খুঁজে নিবে, প্রকৃতি দেবী তাকে মাথা নুয়ে সম্মান জানাবে। তিনি অসীম শক্তির অধিকারী হবেন।
আবিরঃ- মাস্টার, এতটুক তো আমি বুঝতে পেরেছি। তবে বাহিরের দুনিয়ায় আমি কিভাবে চলাচল করব? সেখানের রুল সম্পর্কে তো আমি অবগত নয়।
মাস্টারঃ- তাই তো তোমাকে আমি একাডেমী অব মিস্ট্রিরিয়াসে পাঠাচ্ছি। সেখানে তুমি লেখাপড়া করে ঐ দুনিয়া সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারবে।
আবিরঃ-( অবাক হয়ে) একাডেমী অব মিস্ট্রিরিয়াস? এটা তো সুপ্রিম গডরা তৈরি করেছিল তাই না?
মাস্টারঃ- হুম, তবে সাবধান। সেখানে অনেক বিপদও রয়েছে। তোমার এই সামান্য শক্তি দিয়ে শয়তানের বিরুদ্ধে লড়তে পারবে না। তোমার পরবর্তী মাস্টার ব্যতীত তুমি কিছুই করতে পারবে না। তিনিই তোমাকে সুপ্রিম গডদের থেকেও শক্তিশালী করে তুলবেন। আর সবসময় তোমার মাস্টারের অনুগত থাকবে। বিনা প্রশ্নে তার সকল কথা মানবে।
আবিরঃ- জি! মাস্টার। আমি সকল কথা মানব মাস্টারের। এখন আমাকে অনুমতিপত্র দিন যেন একাডেমীতে ভর্তি হতে পারি।
তারপরে আবির মাস্টারের কাছ হতে অনুমতিপত্র নিয়ে একাডেমী অব মিস্ট্রিরিয়াসের পথে অগ্রসর হলো।
.
.
.
Waiting For Next Part...!
প্রশ্নঃ
১। এরি কে? তার এমন অদ্ভুদ জন্মের কারণ কি?
২। আবির-ই বা কে? তার মাস্টার কে হতে চলেছে?
[গল্পটি কেমন হয়েছে তা গঠনমূলক কমেন্ট করে জানান। আপনাদের গঠনমূলক বিভিন্ন প্রশ্ন আমাকে আগ্রহী করে তুলবে গল্পের প্লটগুলোকে আরও সুন্দর করে সাঁজাতে। কোথাও ভুলত্রুটি হলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। আবার পরবর্তী পর্ব একই সময়ে পোষ্ট হবে। গল্পটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে গঠনমূলক কমেন্ট করে জানাবেন তবেই গল্পটিকে আমি সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।]