সোফি কখনও ভাবেনি, একটা সাধারণ ডেটিং অ্যাপে পরিচয় হওয়া কেউ তার হৃদয়ের এতটা কাছে চলে আসবে। কিন্তু অ্যালেক্স… সে যেন অন্যরকম।
তারা প্রথম দেখা করেছিল লন্ডনের এক ছোট্ট ক্যাফেতে। জানালার পাশে বসা অ্যালেক্স, এক হাতে কফির কাপ, অন্য হাতে পুরনো বই। সোফি ঢুকতেই সে ধীরে ধীরে মুখ তুলে তাকাল। সেই দৃষ্টি… যেন বহুদিনের চেনা কেউ।
“তুমি দেরি করেছ,” সোফি ঠাট্টা করল।
অ্যালেক্স মৃদু হাসল, “তোমার জন্য অপেক্ষা করতে আমার আপত্তি নেই।”
সোফি চুপ করে রইল। এই মানুষটি ভীষণ বিপজ্জনক… অন্তত তার হৃদয়ের জন্য।
তারা কথা বলল, হাসল, আর কফির কাপে আঙুল বোলাতে বোলাতে একে অপরের চোখে হারিয়ে গেল। কিন্তু একটা অদ্ভুত কষ্ট ছিল বাতাসে, যেন তাদের গল্পটা অসম্পূর্ণই থেকে যাবে।
“তুমি জানো?” অ্যালেক্স হঠাৎ বলল, “কিছু সম্পর্ক কোনো নাম পায় না, শুধু হৃদয়ে থেকে যায়।”
সোফির গলা শুকিয়ে এল।
বাইরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সে জানত, আজকের পর তারা আর কখনও দেখা করবে না।
অ্যালেক্স ধীরে ধীরে সোফির হাত ছুঁয়ে বলল, “তুমি আমার মনে রয়ে যাবে, সোফি… চিরকাল।”
সোফি কিছু বলল না। শুধু একবার শেষবারের মতো তার মুখটা দেখল, মনে রাখার জন্য।
তারপর উঠে গিয়ে দরজা ঠেলে বাইরে বেরিয়ে গেল।
পেছনে পড়ে রইল শুধু এক কাপ ঠান্ডা হয়ে যাওয়া কফি আর এক অসমাপ্ত প্রেমের গল্প…