রাতুলের পাহাড়ে যাওয়ার শখ অনেক দিনের। অবশেষে বন্ধুদের সঙ্গে প্ল্যান করে বেরিয়ে পড়ল বান্দরবানের উদ্দেশ্যে। কুয়াশার চাদরে মোড়া পাহাড়ি পথ, বাতাসে যেনো শীতল ফিসফিসানি। শহরের কোলাহল পেছনে ফেলে নতুন এক জগতে প্রবেশ করল ওরা।
বান্দরবান পৌঁছে প্রথম গন্তব্য নীলগিরি। রাস্তা ধরে উপরের দিকে যেতে যেতে মনে হচ্ছিল, মেঘের রাজ্যে চলে যাচ্ছে ওরা! পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে নিচের দিকে তাকাতেই রাতুলের শ্বাস আটকে গেল—সবুজে ঢাকা পাহাড়, মেঘের দল নিচে গড়িয়ে পড়ছে, যেন কেউ তুলার আস্তর বিছিয়ে দিয়েছে।
পরদিন ভোরে দলটা রেমাক্রি ঝর্ণা দেখার পরিকল্পনা করল। নৌকায় চড়ে সাঙ্গু নদী পার হয়ে রওনা দিল। নদীর স্বচ্ছ পানিতে পাহাড়ের ছায়া, চারপাশে ঘন সবুজ বন—সব মিলিয়ে এক স্বপ্নের মতো লাগছিল। কিছুদূর গিয়ে পায়ে হেঁটে ঝর্ণার কাছে পৌঁছাতে হলো। রাতুল জীবনে কখনো এত বড় জলপ্রপাত দেখেনি! উপরে তাকিয়ে মনে হলো, আকাশ থেকে পানি ঝরে পড়ছে।
সন্ধ্যার আগে ওরা পৌঁছাল বগা লেক-এ। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে থাকা এই লেক যেন এক রূপকথার অংশ। স্থানীয়রা বলল, লেকের তলদেশে নাকি রহস্যময় কিছু আছে! শিহরিত হয়ে গেল রাতুল।
শেষ দিন ওরা নীলাচল গেল। মেঘ আর রোদের খেলা দেখতে দেখতে সবাই নিঃশব্দ হয়ে গেল। মনে হচ্ছিল, প্রকৃতি আপন আলোয় সবুজ পাহাড়কে সোনার গায়ে রাঙিয়ে তুলেছে।
ফিরতি পথে রাতুল বুঝতে পারল, পাহাড় শুধু সৌন্দর্য নয়, একধরনের অনুভূতি। একবার যদি পাহাড় ডাকে, মন বারবার ফিরে যেতে চায়। বান্দরবানের সেই মেঘ-ঢাকা দিনগুলো রাতুলের মনে চিরকাল রয়ে গেল।
এটি একটি সংক্ষিপ্ত ভ্রমণগল্প, যা বান্দরবানের সৌন্দর্য তুলে ধরেছে। চাইলে আরও বিশদভাবে কোনো বিশেষ জায়গা বা অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা যেতে পারে!