আজ শনিবার,,
আমি মিতু,এবার ইন্টারমেডিয়েট দিবো।
আমাদের মডেল টেস্টের জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি।
আমি কখনো কাউকে পছন্দ করি নি,তাই ভালোবাসা কি আমি তা জানি না।
তবে গতকাল আমার এক বন্ধুর চোখের এক চাহনি এখনো আমার মনে গেঁথে রয়েছে।
তার নাম রাকিব,আমার সহপাঠী।
অদ্ভুত বিষয় হলো আমার ক্লাসের সব ছেলেরা আমাকে পছন্দ করতো,অফার দিত।শুধু রাকিব ছাড়া। কিন্তু আমি কাউকেই পাত্তা দিতাম না।
সবাইকে এড়ানোর জন্য বলতাম রাকিব অনেক কিউট।
কারন আমি জানতাম রাকিব আমাকে আর সবার মতো পছন্দ করে,এইটা বলবে না।
এক সময় সেও আমাকে পছন্দ করা শুরু করে
কিভাবে বুঝলাম??
তার চোখের চাহনি ছিল অন্য রকম।
কেন জানি আমারো ভিতরে এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করতেছিল।
ধীরে ধীরে আমি তার ওপর দুর্বল হয়ে পড়ি।
পরীক্ষা সন্নিকটে।
ক্লাসে সবাই জানতো,, টিচার যখন পড়া নিতে কাকতালীয়ভাবে ওকেও দার করতো,আমাকেও করতো।
এই নিয়ে ক্লাসে পড়তো এক অট্টহাসির মেলা।।
পরীক্ষা দিলাম একসাথে,,,
এরপরে আমার জীবনের সবথেকে কষ্টের দিন এলো।বাবা জোর করে আমাকে বিয়ে দিয়ে দিল,আমার চোখের পানির কোনো মূল্য দিল না।
সেই নিরব চোখের চাহনি আজো ভুলতে পারি নি,,,
অপূর্ণ থেকে গেল আমার নিরব ভালবাসা।।।।