
১. আলোর কবিতারা
আলো আঁধারের সম্মিলিত সামরিক প্রেমে
তুমি একটা যুদ্ধ হও,
সংগ্রামে সামরিক প্রেম অমর হোক।
তুমি একটা আলো হয়ে
চাঁদের নকশিকাঁথার ভারী বিষন্নতায়
লুটিয়ে পড়ো,
আমি সূর্য হয়ে পুঁজিতন্ত্রকে ঝলসে দিই।
আলো কেন্দ্রে
একটা সাইবেরিয়ান ঠোঁটের সযত্নের চুমু
তোমার অপেক্ষাকৃত নক্ষত্রের বুকে
একটা সুখের মৃত্যু।
একটা কাঠগোলাপের বিপ্লব।
২.আলোর কবিতারা
প্রত্যেকটা ঝুম বৃষ্টি ও আলোরা
রাফাত আহমেদ
একটা বৃষ্টির রাত
গোটা কয়েক বিষন্নতার
অবসানে,
যে আলো নিয়ে ঘরে ফেরে
বিষন্নহীন মন,
সেই আলোই শুরু আমাদের
শুদ্ধতম পথচলা,
খেয়ালে, রাগে, রাজনৈতিক অভিযোগে
তোমাকে পাওয়ার ঘোর বিপ্লব
একটা রাত...
দীর্ঘায়িত সময়ে তোমাকে করে নেওয়া
একটা আলোর প্রত্যাশা।
৩.ঘুমিয়ে পড়া আলোর কবিতারা
মোট ছয় শতকের ব্যবধানে
আমরা গড়েছি নিরাপত্তার প্রাচীর,
যেখানে প্রেম রাষ্ট্রের একমাত্র সংবিধান,
আর আলোর রাষ্ট্রীয় অঘোষিত অভিভাবক।
কিন্তু রাষ্ট্র ক্লান্ত,
তার সৈনিকদের চোখে ঘুম জমেছে,
পাহারায় ফাঁক রেখে গেছে রাষ্ট্রীয় ইনসোমনিয়া।
আর আমি জেগে আছি—
একটা আলোকে ঘিরে,
যে আলো প্রেমের শেষ বিপ্লব ছিল!
স্বৈরতন্ত্রের মতো কঠোর রাত
প্রেমের মিছিল ঠেকাতে চেয়েছিল,
কিন্তু কবিতারা তো বিদ্রোহী!
তারা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ মাথায় নিয়ে
প্রতিটি প্রেমিকের বুকে আশ্রয় চেয়েছিল।
অথচ আজ,
শীতার্ত পাখির মতো কুঁকড়ে আছে আলোর কবিতারা,
বাতাসবিহীন সমুদ্রের মতো স্থির হয়ে গেছে বিদ্রোহ।
তারা কি হেরে গেছে?
নাকি কোনো এক নতুন ভোরের অপেক্ষায়
নিজেকে প্রস্তুত করছে
আরেকটি অভ্যুত্থানের জন্য—
যেখানে প্রেম আবার রাজত্ব করবে,
আর আলোর কবিতারা ইতিহাসের শিরোনাম হবে?
৪.তোমার চোখ ও আলোরা
বেখেয়ালি চোখের জল
একটা মুক্তির স্লোগান হয়ে ঝরে,
সময়ের দেয়ালে আঁকা বিপ্লবের রেখা,
যেখানে আলোরা মিছিলে নামে,
মুক্তির ইশতেহার ছড়িয়ে ।
বিপ্লবের ঘোরে মেতেছে প্রেম এবার
আলোর সম্মিলনে...
তোমার চোখের মুক্তিপণ?
আমার সারাজীবন—
নিঃশর্ত, নিরবিচার, নশ্বরতার ওপারে!
৫.রাত্রি ও আলোরা
রাত্রির আক্রোশে ভেজা চোখের
ইশ্বরীয় আলোয়
তোমাকে খোঁজার একটা
সুনিপুণ ইবাদত আছে।
সম্মিলিত প্রয়াসে লিপ্ত আমার চোখ, হৃদয়
একটা আলোর আশায় কাটাচ্ছে
কয়েকশো বৃহস্পতিবার।
শুক্রবারের বাণিজ্যসভায় বর্ধিত সিদ্ধান্তে
আলো এখন দারুন কেনাবেচা হয়,
তবে শনিবারে বন্ধ হওয়া আলোচনায়
হুট করে তোমার আলো লুফে নিই,
যেমন করে লুফে নিতে হয় ইশ্বরীয় সুযোগ কে।