এইরকম বিকেল পায়ে ধুলো মেখে বসে থাকে।
সূর্যের ঘাড়ে জমা অন্ধকার দেখতে দেখতে
লেবু চা’র ভাপে দেখি
আঙুলের ছায়া।
জিভের নিচে
সুগন্ধী গুল্ম গজায় শুধু।
আমার পেন্ডেন্টে নেফারতিতি।
‘উত্তরাধুনিক কবিতায় এ-ই কি সবসময় উড়ে বেড়ায়?’
সুন্দর প্রশ্ন তোমার। সহজও।
সেই ধরনের কবি হ’লে কি বলতাম,
‘এই বিরিয়ানির চালের ভিত্রে
চাপা পইড়া আছে
এক মৃত স্বৈরাচারী,
আমরা চামচে তুইলা
তার শাসন খায়ালাই?’
তোমাকে খেতে দেখে এসবই ভাবি শুধু।
বেঞ্চে বসে থাকি,
একটা গাছ মাটির দিকে ঝুঁকে আসে,
বলে, বলবি—
‘চুষতে ইচ্ছা করে।’
সন্ধ্যা নামতে নামতে
আমি আগুনের মেয়ে,
খেতে চাই
মাংসের নিচে
বুকের হাড় পর্যন্ত।
তোমার গলায় ঝুলে আছে
একটা নদী।
আমি তারপর জল হতে চাই,
ভিজে যেতে চাই।
ক্রমশ সমস্ত গাঢ় হ’লে
আই হ্যাভ টু চিউ
গ্রেপ ফ্লেভার্ড গামের মতো
লম্বা ক’রে টেনে
তারপর গেলা।
তারপর চা’র কাপের ভেতর
সবকিছু ধোঁয়া।