ঢাকার শহরের এক পুরোনো লাইব্রেরিতে নিঃশব্দ অন্ধকারে দাঁড়িয়ে ছিল আদিয়ান। চারপাশে নিস্তব্ধতা। কেবল তার শ্বাসপ্রশ্বাস আর মাঝে মাঝে আসা এক অদ্ভুত কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছিল। সামনে একটি পুরোনো গুহার দৃশ্য ফুটে উঠছিল তার চোখে, যেখানে অদ্ভুত কিছু চিহ্ন দেওয়ালে আঁকা ছিল। আর গুহার একদম কেন্দ্রে রাখা ছিল একটি কালো হীরা – ব্ল্যাক ডায়মন্ড।
হীরাটির দিকে তাকিয়ে তার মনে হচ্ছিল যেন কোনো অদৃশ্য শক্তি তাকে টানছে। চারপাশে লেখা ছিল: যার হাতে এই হীরা, তার জীবন হবে দুর্বিষহ।
হঠাৎ অন্ধকারে আলো নিভে যায়। সবার কান্নাকাটি শোনা যায়, এবং এক রহস্যময় কণ্ঠ ফিসফিস করে বলল,
"এই হীরার মালিক হবে সে, যার ভাগ্যে লেখা আছে… কিন্তু সাবধান! শক্তি যতই লোভনীয় হোক, অভিশাপ কখনো ছাড়ে না!"
এটা আর কিছু নয়, আদিয়ান এক ভীতিকর স্বপ্ন দেখছিল। চোখ খুলে সে ঘরটাকে দেখতে পেল, কিন্তু সেই অনুভূতি তাকে একটুও শান্তি দিল না। সামনে দাঁড়িয়ে ছিল তার দাদা—ইলিয়াস খান।
"তুমি জানো, আদিয়ান," দাদা ধীর কণ্ঠে বললেন, "এই হীরা শুধু একটি বস্তু নয়। এটা তোমার ভাগ্যের সাথে জড়িত। এবং তুমি না চাইলেও এর সাথে সম্পর্কিত হবে।"
আদিয়ান কিছুটা অবাক হয়ে বলল, "দাদা, আমি জানি না… আমি কি করতে পারি?"
"তুমি যা ভাবছো, তা একেবারে সঠিক নয়," দাদা বললেন, "এটা তোমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হয়তো অনেক কিছু তোমাকে মেনে নিতে হবে, কিন্তু সাবধান—হীরার শক্তি ভয়ঙ্কর।"