এখন আদিয়ান বুঝতে পারছিল, এই ব্ল্যাক ডায়মন্ড শুধু তার পরিবারেরই নয়, নোভা ও তার পরিবারের সাথেও সম্পর্কিত। তাদের দুই পরিবারের মধ্যে যে পুরোনো কিছু রহস্য লুকিয়ে আছে, সেটা আরও গভীরভাবে খোঁজা প্রয়োজন ছিল।
নোভা ও তার পরিবার থাকত ঢাকার এক পুরোনো বাড়িতে। তার বাবা, আরিফ হোসেন, ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী, কিন্তু তার জীবনও এক রহস্যের কাহিনী। তার সাথে তার স্ত্রীর, নাদিয়া হোসেন, সম্পর্কের মধ্যে ছিল কিছুটা গোপনীয়তা। নোভা কখনোই পুরোপুরি জানত না কেন তার মা ও বাবা মাঝে মাঝে অদ্ভুতভাবে কথা বলতেন।
"নোভা, তুমি কি জানো না, তোমার মধ্যে যে শক্তি আছে, তা অনেক মূল্যবান?" একদিন তার মা নাদিয়া তাকে বললেন।
নোভা অবাক হয়ে বলল, "মা, আমি তো কিছুই জানি না… মাঝে মাঝে কিছু অদ্ভুত অনুভূতি হয়।"
"আমরা জানি, তুমি জানো না। কিন্তু সময় এসেছে, তুমি জানবে। তোমার জীবনও, আদিয়ানের জীবনও এখন এক নতুন পথে এগিয়ে যাচ্ছে," নাদিয়া গভীরভাবে বললেন।
এই কথাগুলোর পর, নোভা অনুভব করেছিল যে, কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে, তবে তা কী, তা সে জানত না।