এদিন রাতে, আদিয়ান তার দাদার কাছে বসে ছিল। পুরো পরিবার একসাথে ছিল, কিন্তু তীব্র এক গম্ভীরতা ছিল ঘরটাতে।
"আমাদের পরিবারের জন্য একটা বিপদ আসছে," দাদা ইলিয়াস খান বললেন, "তোমাদের রক্ষা করতে হবে, বিশেষ করে আদিয়ানকে। আর এজন্য আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
ঘরের সবাই চুপ হয়ে গিয়েছিল।
"আদিয়ান, তুমি নোভাকে বিয়ে করবে।"
সবার চোখ চমকে উঠল।
"কি?" আদিয়ান হতবাক হয়ে বলল।
নোভা চুপচাপ বসে ছিল। কিন্তু তার চোখে ছিল এক অবিশ্বাস্য দৃষ্টিভঙ্গি।
দাদা শান্ত কণ্ঠে বললেন, "এই বিয়ে শুধু একটা সামাজিক বন্ধন নয়, এটা রক্তের সম্পর্ক। তোমাদের দু'জনের মধ্যে কিছু আছে যা তোমাদের জানাও নেই। এই বিয়েটা যদি না হয়, তাহলে আমরা সবাই বিপদে পড়বো।"
আদিয়ান উত্তেজিত হয়ে বলল, "দাদা, আপনি কি জানেন না? আমি এভাবে আমার জীবন সাজাতে পারব না!"
দাদা একবার আবার শান্ত কণ্ঠে বললেন, "তুমি যদি আমাদের পরিবারের সদস্য হও, তাহলে তুমি এটা করবে।"
নোভা কঠোরভাবে বলল, "এই যুগে এসেও জোর করে বিয়ে! আমি কি গুহার যুগে বাস করছি?"
এদিকে, পরিবারের সবাই মনে মনে জানতো, যে একদিন তারা একে অপরকে ভালোভাবে বুঝতে পারবে, এবং সেই রহস্যের মধ্যে হারানো কিছু সত্য বের হয়ে আসবে।