চলতি বছর কানাডার সম্মানজনক সাহিত্য পুরস্কার গিলার প্রাইজ জিতেছেন লাওশান-কানাডিয়ান কবি এবং ছোটগল্প লেখক সৌভানখাম থাম্মাভংসা। ১৭ নভেম্বর টরন্টোর পার্ক হায়াতে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে পুরস্কারজয়ী লেখকের নাম ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার হিসেবে থাম্মাভংসা পেয়েছেন এক লাখ ডলার। অর্থমূল্যের দিক থেকে এটি দেশটির সাহিত্য জগতের সবচেয়ে মূল্যবান পুরস্কার।
লাওশান বংশোদ্ভূত ৪৭ বছর বয়সী এ লেখক ‘পিক অ্যা কালার’ উপন্যাসের জন্য কানাডার সম্মানজনক এই পুরস্কার পান। এই উপন্যাসে বক্সার থেকে ম্যানিকিউরিস্ট বা নখ পরিচর্যাকারীতে পরিণত হওয়া নিং নামের একজন নারীর জীবনের একাকীত্ব, প্রেম এবং শ্রমকে তুলে ধরা হয়েছে।
এটি থাম্মাভংসারের দ্বিতীয় গিলার প্রাইজ। এর আগে ২০২০ সালে ‘হাউ টু প্রোনাউন্স নাইফ’ উপন্যাসের জন্য তিনি প্রথমবার এ পু্রস্কার জিতেছিলেন। উল্লেখ্য, নোবেলজয়ী কানাডিয়ান লেখক এলিস মুনরোও দুইবার গিলার প্রাইজ জিতেছিলেন।
পুরস্কার গ্রহণের সময় দেওয়া বক্তৃতায় থাম্মাভংসা বলেছেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমি জানতাম না কিভাবে লেখক হবো। আমার মা-বাবা লেখক নন। আমি আমার বইগুলো নিজেই ছাপিয়ে বাঁধাই করে স্কুলের ব্যাগ থেকে সামনের লনে, কৃষকদের বাজারে এবং ছোট ছোট মেলায় বিক্রি করতাম। তাই যারা আমার লেখা বই কিনেছেন তাদের ধন্যবাদ।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সাল থেকে গিলার প্রাইজ দেয়া হচ্ছে। ২০০৫ সালে স্কোশিয়াব্যাংক এই পুরস্কারটি স্পন্সর করা শুরু করে। তবে ২০২৩ সালে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রাইজের সঙ্গে স্কোশিয়াব্যাংকের যুক্ত থাকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। কারণ ইসরায়েলি অস্ত্র প্রস্তুতকারক এলবিট সিস্টেমে এই ব্যাংকটির বিনিয়োগ রয়েছে। এর ফলে অনেক লেখক গিলার প্রাইজ বয়কট করেন। পরবর্তীতে চলতি বছরের শুরুতে স্কোশিয়াব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে গিলার প্রাইজ কর্তৃপক্ষ। ইংরেজি ভাষায় লেখা কানাডার লেখকদের কথাসাহিত্যের জন্য প্রতি বছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
সূত্র: টরন্টো স্টার