কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সরঞ্জামগুলো থ্রিলার এবং বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর লেখকদের জন্য হুমকি হতে পারে। তবে সিরিয়াস উপন্যাসিকদের চ্যালেঞ্জ করার জন্য যে মৌলিকতা এবং হাস্যরসের দরকার এগুলোর মধ্যে তার অভাব রয়েছে বলে মনে করেন লেখক সালমান রুশদি।
ফরাসি সাহিত্য জার্নাল La Nouvelle Revue Francaise (NRF) এ প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে রুশদি বলেছেন, তিনি চ্যাটজিপিটিকে তার স্টাইলে ২০০ শব্দ লিখতে বলে পরীক্ষা করেছেন। চ্যাটজিপিটির লেখাটিকে ছাইপাঁশ হিসাবে বর্ণনা করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ-আমেরিকান এই লেখক। আর্টিকেলটি ২১ মার্চ ফরাসি ভাষায় প্রকাশিত হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রুশদি বলেছেন, যেসব পাঠক আমার লেখা এক পৃষ্ঠা পড়েনি তারা ভাবতেও পারবে না যে আমি লেখক।
বুকার পুরস্কার বিজয়ী এই লেখক বলেছেন, জেনারেটিভ এআই রাইটিং টুলসগুলো ফর্মুলা লেখকদের জন্য হুমকি হতে পারে। তিনি আরও বলেছেন, সমস্যা হলো এই জিনিসগুলো যেকোনো কিছু খুব দ্রুত শিখে যায়। এটি থ্রিলার এবং সায়েন্স ফিকশনের মতো সাহিত্যের লেখকদের জন্য উদ্বেগজনক হতে পারে, যেখানে মৌলিকতা কম গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সিনেমা এবং টিভির জন্য যারা চিত্রনাট্য লেখেন, তাদের জন্য এই হুমকি তীব্র হতে পারে।
৭৬ বছর বয়সী এই লেখক বলেছেন, হলিউড ক্রমাগত একই চলচ্চিত্রের নতুন সংস্করণ তৈরি করছে। এক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিত্রনাট্য তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
চ্যাটজিপিটির দক্ষতা সম্পর্কে রুশদির রায় কঠোর ছিল। তার মতে এতে কোন মৌলিকতা নেই এবং আপাতদৃষ্টিতে এটি সম্পূর্ণরূপে হাস্যরসের অনুভূতি বর্জিত।
উল্লেখ্য, সালমান রুশদি ১৯৮১ সালে মিডনাইটস চিলড্রেন উপন্যাসের জন্য বুকার প্রাইজ জিতেছেন। এটি তার দ্বিতীয় উপন্যাস ছিল। রুশদির অন্যান্য উপন্যাসগুলো হলো, শালিমার দ্য ক্লাউন, দ্য গোল্ডেন হাউস, ভিক্টরি সিটি, শেম।
সূত্র: এএফপি