Posts

ফিকশন

Two World Apart

March 15, 2025

Md Samiur Rahman

81
View

অধ্যায় ১:

স্টেডিয়ামজুড়ে উত্তেজনা! হাজার হাজার দর্শকের গর্জন, পতাকা উড়ছে, ক্যামেরার ফ্ল্যাশ জ্বলছে। বিশ্ব অলিম্পিকের ফাইনাল রাউন্ডে সবাই তাকিয়ে একটাই নামের দিকে— শাহরিয়ার রহমান!
ঘোষকের কণ্ঠ স্পিকারভর্তি উচ্ছ্বাসে কেঁপে উঠল,
— "এবং বিজয়ী হলো—শাহরিয়ার রহমান! বাংলাদেশ ইতিহাস গড়লো!"
সোনার মেডেল গলায় ঝোলানো শাহরিয়ার উচ্ছ্বাসে দুই হাত তোলে। জাতীয় সংগীত বাজছে, তার চোখে জল। এই মুহূর্তের জন্যই তো সে এতদিন লড়াই করেছে!
দূরে তার পরিবার টিভির সামনে দাঁড়িয়ে, আনন্দের কান্নায় ভেঙে পড়েছে। বাবা-মা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেছেন, ভাই-বোনেরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে বিস্ময়ে কেঁদে ফেলছে।

বিমানবন্দরে শাহরিয়ার নেমেই দেখে—তার জন্য অপেক্ষা করছে শত শত মানুষ। সাংবাদিকরা মাইক্রোফোন এগিয়ে দেয়, ক্যামেরার আলো ঝলসে ওঠে।
একজন সাংবাদিক জানতে চায়, "এত কম বয়সে এত বড় সাফল্য! এখন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?"
শাহরিয়ার হেসে উত্তর দেয়, "এই দেশকে আরও কিছু দেওয়ার ইচ্ছে আছে। পরিবারের সঙ্গে কিছুদিন কাটিয়ে ভাবব।"
পুরো গ্রাম যেন উৎসবে মেতে ওঠে। সবাই তাকে সংবর্ধনা জানায়, ফুলের মালায় মুড়ে ফেলে।
কিন্তু শাহরিয়ার জানত না, এই আনন্দের জীবনটা এভাবে তছনছ হয়ে যাবে এত দ্রুত!


রাত গভীর, চারপাশ নিস্তব্ধ। শাহরিয়ার বারান্দায় দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিল। হঠাৎ গুলির শব্দ!
তার বুকের ভেতর কেঁপে ওঠে!
সে দৌড়ে ঘরে আসে—তার সামনে লুটিয়ে পড়ে বাবা, মা, ভাই, বোন! মাটিতে রক্তের স্রোত!
তার পা কাঁপছিল। মাথার ভেতর ঝাপসা হয়ে আসছিল সবকিছু।
সে মাটিতে বসে পড়ে, বোঝার চেষ্টা করছিল, "এটা কীভাবে হলো?"

শাহরিয়ার তখনও স্তব্ধ। তার হাতের তালু রক্তে ভিজে গেছে। পাশে পড়ে আছে একটি পিস্তল।
পুলিশ এসে ঘর ঘিরে ফেলে। একজন অফিসার এগিয়ে আসে, তার চোখ সন্দেহে চকচক করছে।
— "তুমি কিছু লুকাচ্ছো না তো? এই বন্দুকটা কীভাবে এখানে এলো?"
শাহরিয়ার কাঁপা কণ্ঠে বলল, "আমি জানি না! আমি কিছু করিনি!"
কিন্তু ততক্ষণে হাতকড়া তার কব্জিতে লেগে গেছে।

খবরের শিরোনামে ভেসে উঠল—
"অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন শাহরিয়ার নিজেই খুনি?"
টিভিতে আইনজীবী আনোয়ার হোসেন বলল, "সব প্রমাণ শাহরিয়ারের দিকেই ইঙ্গিত করছে। আদালতে বিচার হলে সে কোনোভাবেই মুক্তি পাবে না!"
শাহরিয়ার বোঝার চেষ্টা করছিল, এটা কীভাবে সম্ভব? কে করল এই হত্যাকাণ্ড?
কিন্তু উত্তর খুঁজে পাওয়ার আগেই তাকে আদালতে হাজির করা হলো।

শাহরিয়ার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে। বিচারকের কঠোর চোখ তার দিকে তাকিয়ে আছে।
উকিল গম্ভীর গলায় বলল, "এই আসামি নিজের পরিবারকে হত্যা করেছে, সে কঠিন শাস্তি পেতে বাধ্য!"
শাহরিয়ার চিৎকার করে উঠল, "আমি নির্দোষ! বিশ্বাস করুন!"
কিন্তু বিচারকের রায় এল,
— "শাহরিয়ার রহমান, তোমাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো!"
সব যেন স্তব্ধ হয়ে গেল।

জেলের লোহার গেটের দরজা শব্দ করে বন্ধ হলো।
অন্য কয়েদিরা মুচকি হেসে বলল, "এটাই তোর নতুন জীবন!"
শাহরিয়ার ধীরে ধীরে ভিতরে হাঁটতে লাগল। অন্ধকার কুঠুরির দিকে।
তার চোখে জল জমছিল, কিন্তু সে আটকে রাখার চেষ্টা করছিল।

শাহরিয়ার বন্দী অবস্থায় ছোট একটি সেলে বসে ছিল। চারপাশে সেলফোনের আলো ছাড়া কিছুই ছিল না। কেবল অন্ধকারে সেলফোনের আলো টিমটিম করে জ্বলছিল। তার মনে হচ্ছিল, এই অন্ধকারে একা হয়ে যাওয়ার চেয়ে, আলো থাকলে অন্তত কিছুটা শক্তি পাওয়া যেত। কিন্তু এই জায়গা, এই কারাগার, তাকে দুর্বল করে দিচ্ছিল। বাইরে থেকে, অন্য কয়েদিদের হাসি-ঠাট্টা আর চিৎকার শোনা যাচ্ছিল।

কয়েদি ১ (হাসতে হাসতে): "আহ! এক নম্বর প্লেয়ার আমাদের এখানে! দেখো দেখো, চ্যাম্পিয়ন এলো!"
শাহরিয়ার চোখ বন্ধ করে মনে মনে ভাবছিল, "কীভাবে আমি এমন শাস্তি পেলাম? কেন আমাকে মেরে ফেলা হবে?" তার মনে হঠাৎ করে উঠে আসে তার পরিবারের ছবি। তাদের মুখ, তাদের হাসি, সবকিছু মনে পড়ে যায়। শাহরিয়ার জানত, এখানে তার জন্য এক মুহূর্তের শান্তি নেই।

দুপুরের খাবারের সময়, শাহরিয়ার এক কোণায় বসে ছিল। তার পাশে অন্য এক কয়েদি, তারেক, তাকে নিয়ে কথা বলছিল। তারেকের মুখে কিছুটা হাসি ছিল, তবে তার হাসি ছিল অদ্ভুত—এক ধরনের কঠিন বাস্তবতা অনুভূতির সাথে।
তারেক (মুখ চেপে হাসে): "তুই বোধহয় জানিস না, এখানে কেউ সহজে বের হতে পারে না। তুই পেশাদার অ্যাথলেট ছিলি তো? খালি পেটেই থাকতে হবে এখানে!"
শাহরিয়ার: "এটা কি সব কিছু শেষ? কেউ আমার সাহায্য করতে পারবে?"
তারেক: "এখানে কেউ কাউকে সাহায্য করে না। সবাই নিজেকে বাঁচানোর জন্য এখানে। কিন্তু তুই যদি সত্যি চাও, একটাই উপায়—পদক্ষেপ নে!"
শাহরিয়ার এক দৃষ্টিতে তারেকের দিকে তাকিয়ে থাকে। সে বুঝতে পারে, এই জেলে কিছুই সহজ নয়। এখান থেকে বের হওয়ার জন্য তাকে অন্য পথে ভাবতে হবে।

রাতে, শাহরিয়ার কিছুটা ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ, ঘরের মধ্যে এক অদৃশ্য কণ্ঠস্বর শোনা যায়। প্রথমে সে কাঁপতে কাঁপতে উঠল, কিন্তু তারপর ভয় ভরা চোখে সেলের চারপাশে তাকাল।
অদৃশ্য কণ্ঠ (হাসতে হাসতে): "ওহ! তুমিই সে চ্যাম্পিয়ন! কীভাবে মনে হয়? তুমির জীবনের গল্পে এখন লিখছি আমি!"
শাহরিয়ার আতঙ্কিতভাবে বিছানা থেকে উঠে পড়ে গিয়ে সেলের বাইরে পালানোর চেষ্টা করে। তার মনে ভয় ঢুকে যায়, এমন এক ভয়, যা তাকে একদম নতুন কোনো বাস্তবতা মুখোমুখি দাঁড় করায়।

শাহরিয়ার সেলের এক কোণায় বসে ছিল, তার চোখে নির্ণয়প্রসূত তীব্রতা ছিল। তার সামনে রাখা কাগজের টুকরোতে লেখা ছিল— "মুক্তির জন্য তোমার একটাই উপায়: সত্যের সন্ধান।" শাহরিয়ার চুপচাপ কাগজটির দিকে তাকিয়ে ছিল, মনে মনে বলছিল, "আমি জানি, কেউ আমার কষ্টের কারণ না। আমি নিজেই এই যাত্রা শুরু করব। সব কিছু ফিরিয়ে আনব।"
সে স্থিরভাবে উঠে দাঁড়িয়ে, অন্ধকারে নিজের ভেতরের শক্তিকে অনুভব করল। তার কাছে সময় এখন এক নতুন উপলব্ধি হয়ে দাঁড়িয়েছে—এখন তার জীবন এক নতুন পথে চলবে, এক নতুন উদ্দেশ্যে।

এদিন, শাহরিয়ার তার সেলের এক কোণায় বসে ছিল। হঠাৎ তার মনোযোগ আকর্ষণ করে একটি জেল অফিসার। সে চুপচাপ শাহরিয়ারের কাছে এসে বসে।
শাহরিয়ার: "তুমি বলেছিলে, কেউ ছিল আমার পরিবারের খুনির সাথে যুক্ত। সে কে? তুমি কি জানো তার নাম?"
জেল অফিসার কিছু সময় চুপ করে থাকে। তারপর শ্বাস নেয়ার পর কষ্টের সাথে বলে, "তুমি যে সঠিক পথ খুঁজছো, তা জানি। আমি শুধু তোমাকে বলছি, এমন একজন ছিল, যাকে তুমি মনে করো না। সে খুবই শক্তিশালী, সে একসময় তোমার পেছনে ছিল। কিন্তু তার নাম আমি বলতে পারবো না।"
শাহরিয়ার: "তোমার সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ, কিন্তু আমি জানি, আমি একাই এটা বের করবো।"

এক সন্ধ্যায়, শাহরিয়ার তার সেলে বসে ছিল, কাগজপত্রের উপর নজর রেখে। সে সিদ্ধান্ত নেয় যে, সে নিজেই তার পরিবারের খুনিকে খুঁজে বের করবে।
শাহরিয়ার (নিজে মনে): "এটা আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আমাকে পারতেই হবে।"
সে একে একে পুরনো কেস ফাইলগুলো খুঁজতে শুরু করে। তার চোখে পড়ল একটি বিশেষ দাগ, যা সে আগে লক্ষ্য করেনি।
শাহরিয়ার (কাগজে লেখা): "এটি কি সেই চিহ্ন? এমনকি তাও আমি জানতাম না যে, এটা আমাকে কোথাও নিয়ে যাবে।"
শাহরিয়ার সেই চিহ্নটির দিকে তাকিয়ে কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে যায়, কিন্তু সে জানত, এখন তার আর পিছনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

রাতে, শাহরিয়ার তার সেলে একা বসে ছিল। হঠাৎ, অদৃশ্য কণ্ঠ তার কাছে আসে। প্রথমে সে ভয় পায়, কিন্তু তার পরও দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে।
অদৃশ্য কণ্ঠ: "ওহ, তুমিই তো! মনে হচ্ছে তুমি এখন কিছু জানতে পারবে। কিন্তু তোমার পথ সোজা নয়। কারণ, আমি আছি, আমি জানি সবকিছু!"
শাহরিয়ার কাঁপতে কাঁপতে উঠে দাঁড়ায়, কিন্তু তার চোখের সামনে কিছুই দেখা যায় না। তবে সে জানে, এই অদৃশ্য কণ্ঠ তার জীবনের সবচেয়ে বড় শত্রু।
শাহরিয়ার (ধীরে ধীরে): "তুমি কি বুঝতে পারো, তুমি আমাকে খুন করতে চাও। কিন্তু আমার আর ভয় নেই!"

একদিন, শাহরিয়ার তার জেলের বন্ধুকে, তারেক, আবার দেখতে পায়। তারেকের চোখে একটু আশাবাদী ভাব ছিল। শাহরিয়ার তার দিকে তাকিয়ে বলে,
শাহরিয়ার (কাঁপতে কাঁপতে): "পালানো এখন কোনো সমাধান না। আমি একমাত্র সত্যটা বের করতে চাই—কে ছিল আমার পরিবারের খুনি?"
তারেক: "যে কেউ যদি জানত, সে তো মরেই যেত! তবে তুই যদি চাও, তাহলে কি আমি সাহায্য করতে পারি?"
শাহরিয়ার কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত হয়, কিন্তু তার শেষ আশা জেগে ওঠে। সে এক টুকরো কাগজ বের করে তার কাছে দেয়।
শাহরিয়ার: "এটা শেষবারের মতো। যদি তুমি কিছু জানো, তাহলে বলো। আমি চাই সত্যটা বের করতে।

সন্ধ্যায়, শাহরিয়ার তার সেলে বসে এক পত্রিকা পড়ে। হঠাৎ সেখানে একটি অদ্ভুত তথ্য দেখে, যা তার পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়।
শাহরিয়ার (নিজে মনে): "এটা কি... ওই একই চিহ্ন!"
সে দ্রুত পত্রিকা ধরে নিজের সেলে ঢুকিয়ে ফেলে, এবং সেই চিহ্নটির সাথে সম্পর্কিত একটি পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে যায়।
শাহরিয়ার (উচ্চকণ্ঠে): "আমার খুনি কোথায়? আমি তাকে খুঁজব, কোনো খুনির সাথে লুকানোর সুযোগ আর থাকবে না!"

শাহরিয়ার তার সেলের অন্ধকারে বসে ছিল। সামনে পুরনো ফাইলগুলো ছড়িয়ে পড়েছিল, একটির মধ্যে ছিল অনেক ছবি এবং কিছু নাম। তার চোখে সন্দেহ আর উত্তেজনা ছিল।
শাহরিয়ার (নিজে মনে): "এই ছবি… আমি জানতাম না! এর মধ্যে একজন ছিল আমার পরিবারের খুনি? কেন আমাকে সব কিছু গোপন করা হয়েছিল?"
ফাইলটি আরেকবার খুঁটিয়ে দেখে, এক অদ্ভুত নামের পরিচয় পায়, যা তার মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা তৈরি করে।
শাহরিয়ার (উচ্চকণ্ঠে): "এটা আমার পরিবারের জন্য অভিশাপ! কিন্তু আমি জানি, আমি তাকে খুঁজে বের করবো।"

একদিন সন্ধ্যায়, শাহরিয়ার তার সেলে এক অদ্ভুত অশান্তি অনুভব করল। কয়েক মিনিট পর, জেলের আঙিনায় কয়েকজন অদ্ভুত লোক ঢোকে, তাদের মধ্যে একজন দাঁড়িয়ে থাকে। শাহরিয়ার বুঝতে পারে, এটি তার নতুন শত্রু—লুকাস।
শাহরিয়ার (নিজে মনে): "লুকাস! সে সেই লোক, যাকে আমি কখনো দেখিনি, কিন্তু সে অনেক কিছু জানে।"
লুকাস সামনে এসে দাঁড়ায়, তার মুখে এক শীতল হাসি ছিল।
লুকাস (সামনের দিকে এগিয়ে এসে): "তুমি জানো, তুমি একদিন পালিয়ে যেতে চেয়েছিলে? এখন তোমার পুরো জীবন এই দেয়ালে আটকে আছে।"
শাহরিয়ার: "তুমি আমাকে কখনো আটকাতে পারবে না। আমি জানি, তুমি সেই খুনি। তুমি যে মানুষটা আমার জীবন থেকে সব কিছু ছিনিয়ে নিয়েছো!"

পরের দিন, শাহরিয়ার তার সেলের ভিতর কিছু গোপন টানেল খুঁজে পায়, যা সে আগে কখনো খেয়াল করেনি। তার চোখে কিছুটা আলোর ঝলকানি দেখা যায়।
শাহরিয়ার: "এটাই আমার মুক্তির পথ!"
তার হাতের তালুতে শীতল শ্বাস নেয়, টানেলটি অনুসরণ করে কিছুটা এগিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর, তার সামনে এক অন্ধকার স্থান আসে, যেখানে কেউ তাকে দেখতে পায় না। সেখানে, সে দেখতে পায় একটি ছোট এলাকা, যা তাকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার রাস্তা খুলে দেয়।
শাহরিয়ার (নিজে মনে): "এটা সঠিক পথ... এই টানেল আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে, কে জানে!"

টানেলটি অনুসরণ করতে গিয়ে, শাহরিয়ার হঠাৎ তার পুরনো বন্ধু তারেক-এর মুখ দেখে। তারেককে দেখে, শাহরিয়ার কিছুটা হতবাক হয়।
শাহরিয়ার: "তুমি এখানে কী করছো?"
তারেক: "তোমার জন্য আমি অনেক কিছু করেছি, কিন্তু তোমার পথে এসে দাঁড়িয়েছি। এইবার, তোমাকে সাহায্য করতে হবে। আমি জানি, তুমি যেখানে যাচ্ছো, তা আরও বিপজ্জনক হতে চলেছে।"
শাহরিয়ার: "তুমি কী বলতে চাও?"
তারেক: "এই সেলে শুধু তুমি একা নয়। তোমার সাথে এমন আরও অনেক মানুষ রয়েছে, যারা খুনের সাথে জড়িত। সঠিক সময় আসলে, তুমিও তাদের দেখা পাবে।"

এদিকে, লুকাস, শাহরিয়ারকে ঘিরে নতুন চক্রান্ত তৈরি করে। সে আরেকটি পরিকল্পনা করে, যাতে শাহরিয়ারের পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
লুকাস (নিজে মনে): "এইবার, শাহরিয়ার জানুক যে, তার জন্য এই জেল এক টুকরো অবরুদ্ধ কক্ষ, যেখানে সে পালাতে পারবে না।"
লুকাস একটি গোপন কেস ফাইল বের করে, সেখানে শাহরিয়ার ও তার পরিবারের সম্পর্কের সঠিক ইতিহাস লেখা থাকে।
লুকাস (শ্বাস টেনে): "শাহরিয়ার যদি জানে যে তার পরিবারকে ধ্বংস করতে এই পুরো জেল ব্যবস্থার গোপন হাত রয়েছে, তাহলে সে আর পালাতে পারবে না।"

শাহরিয়ার আবার সেলের ভিতর বসে থাকে, এমন সময় তার কাছে একটি নতুন পত্রিকা পৌঁছায়। এতে দেখা যায়, তার পরিবার সম্পর্কে কিছু ভয়াবহ তথ্য যা সে আগে জানত না।
শাহরিয়ার (পত্রিকা হাতে): "এই সবই ছিল গোপন! যদি আমি এই সত্য জানতাম, তাহলে আমি আরো আগে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারতাম।"
সে কাগজে থাকা একটি ছবি দেখে, যেখানে তার পরিবারের খুনির সম্পর্কে কিছু তথ্য পাওয়া যায়। সেই খুনি অবশেষে তার কাছে আসছে।

শেষে, শাহরিয়ার তার বন্ধু তারেক-এর সাথে একটি পরিকল্পনা তৈরি করে, তারা সিদ্ধান্ত নেয়, তারা এই জেলের ভিতরেই আসল খুনি খুঁজে বের করবে।
শাহরিয়ার: "আমার ভেতরে এখন আর কোনো ভয় নেই। আমাকে বের করতেই হবে!"
তারেক: "ঠিক আছে, এবার একসাথে এগিয়ে চলি। কিন্তু মনে রেখো, আমাদের পথ আরও কঠিন হবে।"
তারা পেছন ফিরে তাকায়, নিজেদের স্থিরতা নিয়ে নতুন যাত্রা শুরু ক

Comments

    Please login to post comment. Login