দুপুর অনেক
নাকি
জীবন কয়েক!
চিনিকেও মনে হয়
অনেক বেশি মিষ্টি!
রোদ্দুরে বাতাসের লগে
খেলারত
(একটু আগেই হয়ে যাওয়া)
বৃষ্টিতে ভেজা পাতাদের
মনে হয় সুদর্শন যুবকের চোখ
অনেক পাওয়ার!
খুঁজে দেবে
সোনামুখী সুঁইও,
খড়ের গাদায়!
যদি আমি বলি তবে
প্রাণহীন শুকনো পাতায়-
চোখের ভিতর থেকে
ফোনের ভিতর থেকে
নকল ইমেজ
নিয়ে আসে
প্রতীতি কোন এক
যেনবা সময় লিকুইড-
টাইমলেস কোন এক
মহাজাগতিক
জীবন কোথাও আছে এক
অথবা কে জানে!
হয়তোবা
জীবন অনেক!
অযথাই ভেবে বেলা যায়
ফুরায় আয়ুর পল
অন্ধ হয়ে আসে
দৃষ্টি চোখের!
চিনিকেও মনে হয়
লালচে রং এর
মিষ্টি প্রচুর
এতটাই বাড়াবাড়ি
তিক্ত স্বাদ দেয়
যেমন বিষাক্ত হয়
অভাগার প্রেম-
রেখে যায় ক্ষত
আর শেম!
অন্যদিকে সময়ের
বিরামহীনতায়
সব ভেসে যায়
ভেসে যায় শোকের মাতম
প্রেমের প্রলাপ
ভেসে গেছে অলরেডি
পূণ্য ও পাপ!
এমন সময়
জীবনবাবুর মতো
উদাস দুপুর
নিয়ে আসে ফেলে আসা
শহরের স্মৃতি
মনে পড়ে রবিগান
মনে ঘটে ভাবনার উদয়-
কথায় অনেক কথা হয়!
এক একটা কথা হয়
এক জীবনের মত ভারী
দুঃখে ও শোকে
ভেজা ক্যানভাস যেন এক
বহু মৃত্যুশোকের ওজনে
মনে হয় জীবন অনেক-
Childhood Friend
কতটুকু পথ একসাথে চেনা জানা ?
Childhood Friend
কতটুকু পথ একসাথে চেনা জানা ?
কখন কোথায় কিভাবে হারাতে মানা –
তোমার ঘরের দরজা আলগা দিয়ে
বসত সতীন-শাশুড়ি ও মায়ে-ঝিয়ে
স্মৃতির ঝাপটা এখনো হঠাৎ গানে
নিয়ে আসে খুব অন্য একটা মানে ?
কি মানে বলো তো ? আমি কি তা বুঝবো না?
আমিও তো জানি কোন সাপ তোলে ফনা –
তোমার মতন আমিও তো প্রতি রাতে
বালিশ ভেজাই ক্লান্ত চোখের সাথে
তাহলে এমন যোজন দূরের পথে
চেটে দিই এসো সাপের দাঁতের ক্ষতে
ঝিম লাগে আজ মাঝবয়েসের কাছে
পরস্পরের আর কি জানার আছে ?