ফ্ল্যাশ মাংস: রহস্যময় শক্তি
এক ছোট্ট গ্রামে ছিল একটি পুরনো মাংসের দোকান, যার মালিক ছিল একজন রহস্যময় বৃদ্ধ। গ্রামের লোকেরা তাকে খুব একটা পছন্দ করতো না, কারণ তার দোকানে সব সময় কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটতো। এক রাত, যখন সবাই ঘুমিয়ে ছিল, গ্রামের মানুষ লক্ষ করলো, দোকানটি একেবারে অন্ধকার হয়ে গেছে এবং এক ধরনের অদ্ভুত ঝলকানি দেখতে পেল তারা।
গল্প শুরু হয় এক যুবক রাকিবের মাধ্যমে, যে একজন অনুসন্ধানী। রাকিব শুনেছিল, এই দোকানে কিছু অস্বাভাবিক মাংস পাওয়া যায়, যা কেবলমাত্র রাত ১২টা বাজলে পাওয়া যায়। মানুষের মধ্যে গুঞ্জন ছিল, যে মাংসটি খেলে তাতে কিছু বিশেষ শক্তি আসে।
একদিন, রাকিব ঠিক করলো সে এই রহস্য সমাধান করবে। সে দোকানে গিয়ে দেখে, দোকানটির ভেতর এক ধরনের মাংস রাখা আছে, যা খুবই অদ্ভুত এবং ভয়ঙ্করভাবে লালচে রঙের। দোকানের মালিক তাকে সাবধান করে দেয়, "এই মাংস খেও না। এটা একটা অভিশাপ।"
তবে রাকিব তার অনুসন্ধানে গভীরভাবে প্রবেশ করতে চায় এবং সে মাংসের টুকরোটি নিয়ে নেয়। কিছু সময় পর, তার শরীরে এক অদ্ভুত পরিবর্তন হতে থাকে। তার চোখ লাল হয়ে ওঠে এবং এক ধরনের তীব্র শক্তি অনুভব করতে থাকে। তার শারীরিক শক্তি বেড়ে যায়, কিন্তু তার আত্মা এক ভয়ের দিকে ধাবিত হয়।
রাকিব বুঝতে পারে, এই মাংস আসলে এক অদৃশ্য শক্তির দ্বারা প্রভাবিত, যা মানুষের আত্মাকে দখল করে নেয়। সে সাধ্যমতো এই শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকে, তবে তার সামনে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল মাংসের দোকানের মালিক, যে আসলে এক প্রাচীন আত্মা।
গল্পের শেষের দিকে, রাকিব জানে যে, এই মাংসের শক্তির মোকাবিলা করার একমাত্র উপায় হলো পুরনো মন্দিরে গিয়ে সেই শক্তির উৎসকে ধ্বংস করা। কিন্তু সেই মন্দিরটি শুধু সাহসী মানুষদের জন্যই খুলে যায়, যারা নিজের ভয় জয় করে সত্যের সন্ধানে এগিয়ে যায়।
এভাবেই শেষ হয় রাকিবের সংগ্রাম, যেখানে সে তার ভয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং অবশেষে মাংসের রহস্য উন্মোচন করে। তবে শেষ মুহূর্তে, যখন সে ভেবেছিল সব শেষ হয়ে গেছে, সে বুঝতে পারে—এই রহস্য কেবল তার জন্য নয়, পুরো গ্রামবাসীর জন্য।
: রহস্যময় শক্তি