এই যে মাসখানিক হলো জারার সাথে তার দেখা নেই। সেটা নিয়ে সে মোটেও উদ্বিগ্ন ছিল না। জারা কোথায় আছে সেটা সে জানতোও না অথবা জানতে চাইতোও না। যদি না পুলিশ সেদিন সাত সকালে তাকে এনে লকাপে না ঢুকাতো। এখনও যে সে খুব একটা জানতে চেষ্টা করছে তা না। তবু কিছু কিছু শুনছে। কোনো এক প্রভাবশালীর আদুরে সন্তান ধর্ষনের পর তাকে খুন করেছে। কিন্তু বাপ এতই প্রভাবশালী যে কেউ তার নাম মুখে নিতেও সাহস করছে না। পুলিশ প্রথমে সুইসাইড কেইস বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সুবিধা করতে না পেরে মোবাইল কন্টাক্ট লিস্টের সূত্র ধরে রাহুলকে ফাঁসিয়েছে। তার বিরুদ্ধেই সাজিয়েছে খুনের মামলা। আদালতে যতবার অভিযোগগুলো শুনে রাহুল মনে মনে হাসে। এসব আইন আদালত সে কোনোদিন বুঝেনি। এখনও বুঝতে চায় না। সে শুধু ভাবে- উস্টোটা তো জারা খেয়েছে কিন্তু সে গাঁতায় পড়লো কেন!