জীর্ন পৃথিবী
এই পৃথিবী স্বার্থপরের পৃথিবী।
এই পৃথিবী আমার হতে পারে না,
এই চাঁদের আলো, নদীর ঢেউ কোনো কিছুই আমার হতে পারে না।
এই পৃথিবী মিথ্যের পৃথিবী, ছলনার পৃথিবী।
রাস্তার ভিখারি থেকে কাস্তার ধনী পর্যন্ত সবাই মিথ্যের খোলসে বন্দি,
এ যেন এক অনন্ন মিথ্যেপুরী।
হৃদয় উজার করে প্রেম দেখানো প্রেমীকা থেকে শুরু করে পউষের হিমিকা পর্যন্ত সব মিথ্যে।
হে মিথ্যের পৃথিবী তুমি আমার নও।
হে অন্ধকার আকাশের লালাভ রক্তিম চাঁদ, তুমি আমার নও।
হে রাতের আকাশের জ্বলজ্বল করা তাঁরা, তুমিও আমার নও।
হে পৃথিবী তুমিও আমার নও।
যেই পৃথিবী অমানুষদের আনন্দ দিয়ে মানুষদের কাদায় সেই পৃথিবী আমার হতে পারেনা।
হে নিশিথিনী জামিনি, তুমি স্বার্থপরের হও।
স্বার্থপরের জীবনকে তুমি আনন্দে ভড়িয়ে দাও।
হে সুখ, হে আনন্দ তোমরা তাদের জীবনকে প্রফুল্ল করে দাও, যারা অশ্রুপাতের ওপর দাঁড়িয়ে সুখকে স্পর্শ করেছে।
হে গোল পৃথিবীর নীল আকাশ, তুমি স্বার্থপরের আকাশকে রংধনুর সাত রঙে রাঙিয়ে দাও।
হে রাতের আকাশের নক্ষত্রের লাল নীল গোলাপি রঙ, তোমরা স্বার্থপরের আকাশকে অতিরঞ্জিত করে দাও।
পরম সুখ দিয়ে তাদের আকাশকে তোমরা পরিপূর্ণ করে দাও,
এ পৃথিবীর সমস্ত সুখ তোমরা অমানুষদের হয়ে যাও।
এত সুখ তাদের দাও, যেনো মরণকালে তারা স্মরণ করে, কি তারা হারিয়েছে।
তাদের চোখে যেনো তখন ভেসে ওঠে, আমার জীর্ন মুখের শীর্ন হাসি।
কাব্যগ্রন্থ - নক্ষত্রের ক্ষত