পার্কের বেঞ্চিতে আধশোয়া হয়ে
অর্ধভুক্ত আমি ভাবছিলাম সুস্বাদু সব খাবারের কথা।
মনের মন্বন্তর ইদানিং প্রকট হয়ে ওঠেছে ভীষণ-
কূলহীন কবিদের এখন আর কেউ দয়াপরবশ হয়ে খেতে দেয় না।
সমস্ত কবিতার বই এক পথশিশুর কাছে বিক্রি করে দিয়েছি গতমাসে।
আমার অহংকারের সেই একমাত্র অনুষঙ্গ-
প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে বাদাম বিতরণের বৈপ্লবিক কাজ
ঠিকঠাক করতে পেরেছে কি না- এ নিয়ে আমার কিঞ্চিত জিজ্ঞাসা ছিল,
অথচ বাদামওয়ালা ছেলেটার সাথে আর দেখা হলো না।
কবিদের কোনো কৌতুহলই কী পূরণ হবার নয়?
স্বপ্নে স্রষ্টার সাক্ষাৎকার নেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল একবার।
তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমার এত কষ্ট কেন মাবুদ?
যেহেতু আদমের অবাধ্যতা আর আজাজিলের অহংকার দিয়েই
কবিদের সৃষ্টি করা হয়েছে- অতএব কন্ঠে ব্লাসফেমির বাদ্য ছিল কি না
মনে করতে পারছি না।শুধু মনে আছে, কেউ একজন খোয়াবের খোয়াড়ে
হুটোপুটি খেলা স্বপ্নের শুয়োরগুলোকে শাণিত কন্ঠে শাসন করছেন।অতঃপর
আমাকে জানানো হলো, তোমার শ্যামল ত্বকে তৎপর আণবিক সত্ত্বাগুলো
দারুণ গ্রীষ্মের ধমকে অস্থির- ওদের বৃষ্টি দরকার।
সেইদিন থেকে অদৃশ্য জীবাণুদের জীবনে শ্রাবণ এলেই
স্রষ্টা আমাকে কষ্ট ছুড়ে মারেন।একটা ব্যাপার বুঝলাম না-
বারোমাসই ওদের বর্ষাকাল থাকে?