“হারিয়ে যাওয়া সময়”
রোহান যখন প্রথম রিং টি হাতে পেল, সে জানত না যে তার জীবন বদলে যাবে। শহরের এক কোনায় তার পুরনো দোকান ছিল, যেখানে সবাই ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি কিনতে আসত। কিন্তু সে জানত না, তার মনের এক কোণে একটি রহস্য লুকিয়ে ছিল, যা তার সামনে আসবে—একদম অবাক করার মতো।
এটা একদিন অজানা এক মানুষ এসে তাকে উপহার দেয়। একজন বৃদ্ধ, যিনি সাদা পোশাক পরেছিলেন। তার চোখে একটা রহস্য ছিল, যা রোহান বুঝতে পারছিল না।
“এটা তোমার জন্য,” বৃদ্ধ বলেছিলেন, “এটি তোমার জীবন পালটে দেবে।”
রোহান প্রথমে ভাবেনি এটি তার জন্য কিছু বিশেষ হবে। কিন্তু যখন তিনি রিং টি হাতে নিয়ে কিছু সময় পর চোখ বন্ধ করলেন, তখন আশ্চর্যজনক কিছু ঘটল। পুরো সময়ের অনুভব পাল্টে গেল। তিনি এখন অতীতে, কিংবা ভবিষ্যতে কোথাও না কোথাও ছিলেন—নির্দিষ্ট কোনো স্থান বা সময়ে তিনি ছিলেন না, কিন্তু তিনি জানতেন—তিনি একটি অন্য রিয়েলিটি দেখছিলেন।
এটাই ছিল রিং য়ের ক্ষমতা।
“তুমি একজন রিংধারী,” বৃদ্ধটি বললেন, “তোমার যাত্রা শুরু হবে এখান থেকে।”
রোহান বুঝতে পারছিল না, কিন্তু রিংটি তার হাতে শক্তি দিচ্ছিল। এই শক্তি দিয়ে তিনি এখন সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করতে পারতেন। কিন্তু তার জন্য প্রথমে জানতে হবে—রিংটি কীভাবে ব্যবহার করতে হয়।