আগের পর্বগুলো পড়েছেন কিনা না পড়লে পড়ে নিন নইলে বুঝতে পারবেন না
রমেশের বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে। দুটো লোক হরিশ ও সুরেশ কথা বলতে বলতে মাঠের দিকে যাচ্ছিল।
হরিশ বললো আরে ভাই কোদাল কোপানো তো দিনের বেলায় ভালো হতো? দিনকাল যা পড়েছে।
সুরেশ বলল আরে দিনের বেলা যা রোদ্দুর পরে মাঠে কাজ করাই যায় না, এছাড়া আমরা গরীব মানুষ মাঠে কাজ না করলে খাবো কি? তাই এখন কিছুটা কাজ করে যাই আর সকালে কিছুটা করব।
এই বলতে বলতে দুজনেই মাঠে পৌঁছে গেল। গিয়ে দেখে মাঠে কে যেন আছে;! দুজনে একটু ভয় পেল কিন্তু একটু পরে।
হরিশ ভাবল মনে হয় সুরেশ সমীরকে ডেকেছে, আবার সুরেশ ভাবল হরিশ সমীরকে ডেকেছে । ওরা দুজন দুজনারই কথা ভাবলো কিন্তু, দুজনেই কেউ কাউকে জিজ্ঞাসা করলো না।
ওরা এসে ডাক দিল সমির নাকি? ওদিক থেকে কোনো উত্তর এলোনা। তারপর আবার ডাকার পর এবার শুধু দাদা দাদা সুর ভেসে আসলো। হরিশ আর সুরেশ সমীরের থেকে দুজনেই বয়সে বড় তাই ওদের মনে কোনো সন্দেহ হলো না। তারপর দুজনেই নিজেদের জমিতে কাজ করতে লাগলো। কিছুক্ষণ কাজ করার পর হরিশ ও সুরেশের কষ্ট হয়ে গেছিলো, তাই দুজনে এক জায়গায় বসে জিরাতে লাগলো।
আর সুরেশ চিৎকার করে বলল সমীর আই ভাই অনেকক্ষণ তো কাজ করেছিস একটু জিরিয়ে নে, এদিকে আয় । সমীরের কাছ থেকে শুধু দাদা দাদা ডাক ভেসে আসলো।
হরিশ বলল সুরেশ সমীর মনে হয় আমাদের ডাক শুনতে পাচ্ছে না। তুই গিয়ে ডেকে নিয়ে আয় তিনজনে মিলে একটু গল্প করি। হরিশের কথা শুনে সুরেশ সমীরের কাছে যেতে লাগলো, সুরেশের যেতে যেতে মোনে হচ্ছিল রাস্তা ফুরাছে না। আর এদিকে হরিশের মনে তখন একটু একটু ভয় ভয় করছিল। তারপর হরিশ পেছন থেকে দাদা দাদা ডাক শুনতে পাই, তখন হরিশের এই কথা মনেও আসলো না। সমীর তো সামনে কাজ করছিল,ও পেছন থেকে কি করে আসবে?
চলবে