আগের পর্বগুলো পড়েছেন কিনা না পড়লে পড়ে নিন নইলে বুঝতে পারবেন না
হরিশ বলল সমীর তুই এখন এসেছিস, তোকে ডাকতে সুরেশ গেছে, ওকে ডাক দে।
তখন ধীরে ধীরে দাদা দাদা ডাক আরো বাড়তে লাগলো।
হরিশ বললো সুরেশ তো তোর নিজের দাদা নয় তাই নাম ধরে ডাকদে তাহলে যদি শুনে বুঝতে পারে, ওকেই ডাকছিস।
তবুও পেছন থেকে শুধু দাদা দাদা ডাক ভেসে আসতে লাগলো। তাই হরিশ মনে মনে একটু রাগ কোরে তখন পিছনে তাকালো, তাকাতেই দেখে কী? পিছনে একজন ঠিকই দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু। অন্ধকারে ঠিক করে দেখা যাচ্ছে না। ঠিক করে দেখার জন্য হরিশ হেরি কেনেথ আলোটা একটু বাড়িয়ে দিলো। তখনই হরিশ দেখে কি সামনে একটা মাথা কাটা মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। এই দেখে চিৎকার করে বলে, গলা কাটা দাদা।
ময়না গল্প থামিয়ে বলল সতীশ ঠাকুরদা গলা কাটা ভুতের তো মাথায় নেই দেখে কি করে ?
সতীশ ঠাকুরদা বলল শুধু তো ওর মাথায় নেই ওর চোখ, নাক, মুখ তো আছে ?
সানু বললো মানে কিছু বুঝতে পারলাম না। মাথায় না থাকলে চোখ, নাক, মুখ, কি করে থাকে। আর থাকলে চোখ নাক মুখ কোথায় আছে?
সতীশ ঠাকুরদা বললো বুকের উপর বড়ো বড়ো দুটো চোখ, চোখে ভেতর আগুনের মতন জ্বলতে থাকে ,পেটে বড়ো মুখ মুখের দাঁত গুলো চার পাঁচ আঙুলের থেকে লম্বা, দাঁতগুলো রক্তের মতন লাল ।গলার কাছ থেকে সোজা পেট পর্যন্ত লম্বা নাক। গলাকাটা ডাকাত সব সময় দাদা দাদা করতে থাকে।
চলবে