Posts

গল্প

সতীশ ঠাকুরদার গল্প গলাকাটা দাদা পাঠ ৮

April 23, 2025

Mrityunjoy Mondal

87
View

আগের পাট গুলো পড়েছেন কিনা না পড়লে পড়ে নিন নইলে বুঝতে পারবেন না

আর ওদিকে সুরেশ হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূরে চলে এসেছে কিন্তু, তবুও সমীরের কাছে পৌঁছাতে পারলো না।

সুরেশ মনে মনে ভাবছিল সমীর কত দূরে কাজ করছে সমীর দের জমিটা তো অতটা ও দূরে না, তবে এত সময় লাগছে কেন ।

এবার ধীরে ধীরে সুরেশের ভয় করতে শুরু করতে লাগলো।

সুরেশ ভাবলো এটা কি হচ্ছে আমার সাথে।

তখনই দেখতে পেল সামনে দিক থেকে সুমির এদিকেই আসছে, আর দাদা দাদা করছে।

সুরেশ ভাবল সমীরের মনে হয় ভয় করছে।

সুরেশ চিৎকার করে বলল সমীর ভয় পাস না,আমরা আছি ।

তারপর সমীর সুরেশের কাছে যত আসতে থাকে ততই দাদা ডাক কমবার বদলে আরো বাড়তে লাগলো । সমীর আরেকটু কাছে আসার পর সুরেশ যখনই গলাকাটা দাদাকে দেখল তখনই পিছনের দিকে দৌড়াতে শুরু করল, দৌড়াতে দৌড়াতে একটা মাটির ঢিলাই হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় । আর হারিকেন টা ওখানেই ফেলে আবার দৌড়াতে শুরু করে ।

সুরেশ দৌড়াতে দৌড়াতে অনেক দূর চলে এসেছে, আর ভাবছে আমি মনে হয়, হরিশের অনেক কাছে চলে এসেছি, ওই তোর সামনে হরিশ দাঁড়িয়ে আছে।

সুরেশ চিৎকার করে বলতে থাকে। হরিশ পালা এখান থেকে ওখানে সমীর নেই ওখানে গলাকাটা দাদা। খুব জোর বেঁচে এসেছি এখান থেকে চল সকালবেলা আসব এসে কাজ করব । আজকে বেঁচে ফিরলে আমি আর রাত্রে কাজ করতে আসবো না।

সুরেশ এই বলতে বলতে কাছে গিয়ে দেখে সামনে হরিশ না, সেই গলাকাটা দাদা! এখন আর কিছু করার নেই তবুও হরিশ বাঁচবার জন্য একবার শেষ বারের মতন চেষ্টা করল। আবার দৌড়াতে চেষ্টা করল।

আর বলতে লাগলো দাদা আমাকে ক্ষমা করে দাও।

গলাকাটা দাদা বেঁচে থাকতে চন্দন ডাকাত ছিল, তখনও কাউকে ক্ষমা করেনি এখন তো গলাকাটা পেতে পরিণত হয়েছে। গলাকাটা দাদা এখন ছেড়ে দেয় কি করে। গলাকাটা দাদা পেছন থেকে হাত বাড়িয়ে ধরে সুরেশের মাথায় ছিড়ে নেই। আর নিজের মাথার জায়গায় বসায়, এবারও প্রত্যেক মানুষের মাথা মতোই এবার ও মাথা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তারপর গলাকাটা দাদা সুরেশের ও রক্ত চুষে খেয়ে ফেলে।
 


চলবে

Comments

    Please login to post comment. Login