"এই দেখ দেখ, ক্ষেত দুটি এখানে..." (নিপার বান্ধবীরা)
ঠিক তখনই নিপার অন্য বান্ধবীরা বলে ওঠে:
"আরে দোস্ত, তোদের একটু আগে বললাম না, ক্ষেত নীলা ঠিকই মিস্টার ক্ষেতকে খুঁজে বের করবে!" (বান্ধবী)
ঠিক তখনই হঠাৎ নিপা বলে উঠল:
"এই তোরা থাম তো! আমার যে কথাটা বলতে এসেছি, সেটাই বললেই তো হতো..." (নিপা)
"আমরা আবার এমন কী বললাম যে তুই রাগ করছিস?" (বান্ধবী)
"এই তোরা আবার রাগ করছিস কেন?"
আর এই যে,
মিঃ ক্ষেত, তোকে যেন কাল থেকে এমন পোশাকে আর না দেখি!" (নিপা)
আমি নিপার কথাটি শুনে বললাম:
"কেন? আমি কেন আপনার কথা শুনবো?" (আমি)
ঠিক তখনই নিপার বান্ধবীরা বলে উঠল:
"এই কী বললি? আবার বল তো?"
"আমি ভুল কী বলেছি?" (আমি)
"এই যে, মিঃ ক্ষেত,
দেখছি তো তোর সাহস বড্ড বেড়ে গেছে।
তোর কি এই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার ইচ্ছে হলো নাকি?
তুই আমাদের নিপার মুখের উপর কথা বলিস!
আমাদের নিপা চাইলে আজই তোর হাতে টিসি ধরিয়ে দিতে পারে।
তাই বলছি, নিপা যা বলবে, তাই করবি।
কাল থেকে যেন এই পোশাক আর না দেখি!" (বান্ধবীরা)
নিপার বান্ধবীদের কথা শুনে আমার মাথায় প্রচণ্ড রাগ উঠে গেল।
আমি নিপার দিকে কিছু বলতে যাচ্ছিলাম, ঠিক তখনই নীলা আমার হাত চেপে ধরলো।
আর ঠিক তখনই নীলা বলে উঠল:
"আচ্ছা, ঠিক আছে..." (নীলা)
নীলার কথা শুনে আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকলাম।
ঠিক তখনই নিপা বলে উঠলো:
"এই যে মিঃ ক্ষেত, কথাটা মনে রাখবে যেন..." (নিপা)
নিপা কথাটি বলে চলে গেল।
নিপা চলে যেতেই আমি বললাম:
"আমি নিপাকে কিছু বলতে যাচ্ছিলাম,
আপনি কেন আমার হাত ধরে থামালেন?" (আমি)
"না মানে... নিপাকে কিছু বললে উল্টো বিপদ হতে পারতো, তাই আপনাকে থামালাম..." (নীলা)
আমি নীলাকে কিছু বলতে যাবো, ঠিক তখনই:
"ঐসব কথা ছাড়ুন তো।
আর আমাকে এখন বাড়ি যেতে হবে।" (নীলা)
"আচ্ছা, তাহলে চলুন।" (আমি)
চলে যেতে চাইতেই দেখি নীলা ক্যাম্পাসের দোকানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
নীলাকে দেখে আমি বললাম:
"কি ব্যাপার, আপনি কি বার্গারগুলো বাড়ি নিয়ে যাবেন?" (আমি)
"আরে না!" (নীলা)
"তাহলে?" (আমি)
"আরে, বার্গারগুলো না খেলে তো বিল দিতে হবে!" (নীলা)
"আরে, আপনি বিলের কথা চিন্তা করছেন? আমি তো কবেই বিল দিয়ে দিয়েছি!" (আমি)
"আপনি বিল দিয়েছেন মানে?" (নীলা অবাক হয়ে)
"হ্যাঁ, আমি দিয়ে দিয়েছি।" (আমি)
"আরে, আপনি কেন বিল দেবেন! আমি তো আপনাকে খাওয়ানোর কথা বলেছিলাম।
তাই বিল দেওয়ার দায়িত্ব তো আমার ছিল!" (নীলা)
"আরে, আপনি তো আমার বন্ধুত্বের রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করেছেন!
তাই বার্গারের বিল দেওয়ার দায়িত্ব আমারই ছিল।
আপনি আর কিছু বলবেন না!" (আমি)
"আচ্ছা আচ্ছা, ঠিক আছে।
আর কিছু বলব না।
কিন্তু হঠাৎ করে আপনি এত টাকা পেলেন কোথায়?" (নীলা)
"আসলে, আজ প্রথমদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবো ভেবে টাকা জমিয়ে রেখেছিলাম।
আর দুটো বার্গারের দামই বা কত, মোটে ১৮০ টাকা।" (আমি)
"আপনি ‘মোটে’ বলছেন, অথচ টাকা জমিয়ে ছিলেন?" (নীলা)
"আপনাকে তো আগেই বলেছি, আর কিছু বলবেন না!" (আমি, হেসে)
"আচ্ছা আচ্ছা, ঠিক আছে। আর কিছু বলব না।
এবার চলুন।" (নীলা)
"চলুন।" (আমি)
---
আমি আর নীলা কথা বলতে বলতে কিছু দূর হাঁটতেই হঠাৎ নীলা বলল:
"আরে, আপনার নাম্বার তো এখনো দিলেন না!
আমাকে আপনার মোবাইলটা দিন।" (নীলা)
নীলা আমার হাত থেকে মোবাইল নিয়ে নিজের নাম্বার সেভ করে আবার মোবাইল ফেরত দিল।
তারপর বললো:
"আচ্ছা, ঠিক আছে। আমি তাহলে আসি।" (নীলা)
নীলা একটি রিকশা নিয়ে চলে গেল।
আমি তাকিয়ে তাকিয়ে নীলার চলে যাওয়া দেখছিলাম...
---
(পরের দিন)
রাতটা কেটে গিয়ে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট দিয়ে ঢুকতেই হঠাৎ শুনি:
"এই দেখ দেখ, মিঃ ক্ষেত!" (নিপার বান্ধবীরা)
নিপা আর তার বান্ধবীরা আমাকে ঘিরে ধরল।
নিপা বলল:
"এই মিঃ ক্ষেত!
কাল তো তোকে বলেছিলাম, এই পোশাকে আর আসবি না।
তাহলে আজ আবার একই পোশাক পরে এলি কেন?" (নিপা)
নিপার কথা শুনে আমার কালকের কথা মনে পড়ে গেল।
সেই কথা মনে পড়তেই মাথায় প্রচণ্ড রাগ উঠে গেল।
আর রাগের মাথায়...
আমি নিপার গালে বসিয়ে দিলাম—
ঠাস ঠাস ঠাস...
---
#চলবে...