ঠাস ঠাস ঠাস...
"এই ক্ষেত ছেলে, তোর এত বড় সাহস!
তুই আমাদের নিপার গায়ে হাত তুলিস?" (নিপার বান্ধবী)
"আজ যদি তোর হাতে ভার্সিটি থেকে টিসি ধরিয়ে দিতে না পারি, তবে দেখিস..."
(কথাটা শেষ করতে না দিতেই —)
ঠাস ঠাস...
নিপার বান্ধবীদের মধ্যে একজন এই কথা বলছিল।
আর কথা শেষ করার আগেই আমি তার গালেও বসিয়ে দিলাম চপেটাঘাত!
ঠাস ঠাস...
আমি আরেকটা চড় মারতেই সবাই চুপচাপ হয়ে গেল।
সবাই হতবাক হয়ে, মুখ হাঁ করে আমার দিকে তাকিয়ে রইল।
তাদের এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে আমি বললাম:
"এইভাবে হাঁ করে তাকিয়ে থাকলে হবে না। কিছু বলুন।" (আমি)
কিন্তু কেউ কিছু বলল না।
আমি আবার বললাম:
"কী হলো? কেউ কিছু বলছেন না কেন?"
তখন মনে হলো, তারা ভয়ে কিছু বলছে না।
ভেবে নিয়েছে — যদি কেউ কিছু বলে, তাকেও হয়তো আমি গালে বসিয়ে দেব!
আমি হেসে বললাম:
"আচ্ছা ঠিক আছে, কিছু না বললেও চলবে।
আপনারা বরং এই দুজনকে তাড়াতাড়ি কোথাও বসান।
নাহলে আমার মতো এক ‘ক্ষেত’ ছেলের হাতে চড় খেয়ে এখানে পড়ে থাকবে।
তাই বলছি, তাড়াতাড়ি নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান।" (আমি)
এইটুকু বলে আমি সোজা ক্লাসরুমের দিকে চলে গেলাম।
---
(ক্লাসরুমে)
হঠাৎ ক্লাসরুমে ঢুকতেই—
"কেমন আছেন?" (নীলা)
"এই তো ভালো। আপনি?" (আমি)
"আমি ভালো... কিন্তু..." (নীলা)
নীলার মুখে 'কিন্তু' শব্দটা শুনে কিছুটা চিন্তিত হলাম।
"কিন্তু কী?" (আমি)
"মানে... আপনাকে তো নিপা বলেছিল এই পোশাকে ভার্সিটিতে না আসতে।
কিন্তু আপনি তো আজও একই পোশাক পরে এসেছেন..." (নীলা)
নীলার কথায় আমি একটু বিরক্ত হয়ে বললাম:
"আপনিও এই কথা বলছেন?"
"না মানে... আসলে যদি নিপা আজও কিছু করে বসে!
কিংবা তার আব্বুকে এনে টিসি দিয়ে ভার্সিটি থেকে বের করে দেয়...
তাই ভয় পাচ্ছিলাম।" (নীলা)
"আরে ধুর! আপনি এখনো নিপাকে ভয় পাচ্ছেন?" (আমি, হেসে)
"কিন্তু যদি কিছু হয়?" (নীলা)
"আপনি চিন্তা করবেন না। নিপা আর তার আব্বু আমার কিছুই করতে পারবে না।" (আমি)
"মানে?" (নীলা)
"মানে, সেটা এখন আপনার না জানলেও চলবে।" (আমি)
ঠিক তখনই স্যার ক্লাসে এসে পড়ালেখা করিয়ে চলে গেলেন।
কিন্তু আমার মন ভালো লাগছিল না।
তাই আমি ভার্সিটির ক্যাম্পাসের দিকে হাঁটতে বের হয়ে গেলাম।
---
(ক্যাম্পাসে)
কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ পিছন থেকে একটা চেনা কণ্ঠস্বর:
"আপনি এখানে?
আর আমি তো পুরো ভার্সিটিতে আপনাকে খুঁজে চলেছি!" (নীলা)
নীলার কথায় আমি অবাক হয়ে বললাম:
"কেনো? আবার কী হয়েছে?" (আমি)
"অনেক কিছু হয়েছে!
আগে আমার সাথে আসুন।" (নীলা)
"কোথায়?" (আমি)
"আহা! আগে চলুন তো!
নাকি আপনি আমাকে ভালো বন্ধু হিসেবেও মানেন না?" (নীলা)
"আরে না না! চলুন..." (আমি, হেসে)
আমি আর নীলা সামনে এগোতে লাগলাম।
আর আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম:
'এমন কী হলো যে, নীলা এখন ক্যাম্পাসে না বলে আমাকে অন্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছে?
আর কথা বলার সময় বারবার একবার আমার দিকে, একবার ক্যাম্পাসের দিকে তাকাচ্ছে...'
ঠিক তখনই হঠাৎ—
নীলা মুখ খুলল:
---
চলবে...