(এটা একটা সত্য ঘটনা। অনেকেই বোবা ভূত আছে বলে বিশ্বাস করে না কিন্তু কাহিনীটি পড়ার পর আপনাদের ধারণা বদলে যাবে)
আমি প্রতিদিন রাত দশটা কি এগারোটার মধ্যে ঘুমাতে যাই। কিন্তু আমাকে প্রায় রাতেই বোবা ভুতে ধরে। তার জন্য আমি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে অজু করে সূরা মূলক তারপরে চারকুল এরপর এরপর আয়াতুল কুরসি এবং ঘুমানোর দোয়া পড়ে ঘুমাই। ফজরের আগ পর্যন্ত ঠিকই থাকতাম কিন্তু ফজরের পরে আমাকে বোবা ভুতে ধরে। হঠাৎ করে পুরো শরীর প্যারালাইসের মতো হয়ে যায়। কিন্তু চোখ খুলে আশেপাশের সব জিনিসই দেখতে পেতাম। ভয়ে চোখ খুলতাম না যদি ভয়ংকর কিছু দেখি আর ভয় পাই।এই রকম আমার সাথে প্রায় ২ থেকে ৩ দিন পর পর হতে থাকতো। কিন্তু আমি একা ঘুমাতাম না। আমি আমার দুই বোনের সাথে ঘুমাতাম। একদিন যখন আমাকে বোবা ভুতে ধরে তখন আমি সাহস করে চোখ খুলি। তখন দেখি কি যেন একটা ভয়ংকর কালো রঙের দুটি পাখা আছে। আমার পায়ের দিক থেকে রুমের বাইরে যাইতেছে। আমি অনেক চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু আমার মুখ থেকে কোন আওয়াজ বের হচ্ছিল না। মাঝে মাঝে যখন বোবা ভুতে ধরে তখন আমার চোখ হঠাৎ করেই খুলে।যায় আর আমি বুঝতে পারি যে এখনি আমাকে বোবা ভুত ধরবে। তখন আমার আশেপাশে যা থাকে সব ভয়ংকর ভাবে নড়াচড়া করতে থাকে এবং ভয়ংকর ভয়ংকর আওয়াজ আমার কানে ভেসে আসে।(যেমন আওয়াজ ভুতের মুভিতে ভূতেরা করে থাকে ) তখন আমার আশেপাশে যে যে থাকে সবাইকেই দেখতে পাই। সবার কথাই শুনি কিন্তু কেউ আমার কথা শোনে না। আশেপাশের মানুষকে কি বলছি সবই শুনি। কিন্তু অনেক ভয়ঙ্কর কন্ঠে। ভয়ংকর কণ্ঠ শুনে আমার আরো ভয় লাগে। বোবা ভুতে ধরা অবস্থায় আমি আয়াতুল কুরসি পড়ি কিন্তু আওয়াজটা মুখ থেকে বের হয় না। যখন আমাকে ধরতে না পারে তখন আমার বোন আর বাবা-মাকে ধরে। তাদেরকে ভয় দেখায়। একদিন রাত বারোটার পর আমার মাকে বোবা ভূত তার চিকন দাঁত দিয়ে কামড় দিয়েছিল। কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না কিন্তু সে অনেক ব্যথা পেয়েছি। আরো একদিন রাতে একটার পর সবাই ঘুমিয়েছিল কিন্তু আমার ঘুম আসছিল না।হঠাৎ করে শুনি আমার মা চিৎকার করে বলছে এই শালা ছার, মাইরা ফালাবি নাকি এগুলো বলে অনেকক্ষণ ধরেই চিৎকার করছিল। আর তখন আমি মাকে ডাক দিয়ে বললাম মা কি হয়েছে, মা আমাকে ডাক দিয়ে বলতাছে, সায়রা এইদিকে আয় তাড়াতাড়ি। আমি তো তখন অনেক ভয় পাইছিলাম। আমি বুঝে গিয়েছিলাম মাইকে নিশ্চয়ই বোবা ভুতে ধরেছে। তখনই বোবা ভূত আমাকে ছেড়ে দেয়। মা তখন বলে যে, আমার গলা ও বুক কে যেন এক হাত দিয়ে চেপে ধরেছে। আমি শ্বাস করতে পারছিলাম না।তখন আমার মা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে এটা কার কাজ।মা বলে একটা ভালো ওঝাকে দেখাতে হবে। ভালো ওঝা কই পাব। এখন এর যুগে তো বেশিরভাগ ভন্ড ওঝা। সর্বপ্রথম আমাকে ধরেছে।প্রত্যেকবার ধরার সময় একই রকম ভয়ংকর অনুভূতি হত।অনেকবার তো আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টাও করেছিল। প্রায় ঘুমের মধ্যে আমার নাক এবং মুখ আটকে যেত। আমি শ্বাস করতে পারতাম না।প্রায়ই মরার পালা হত,তারপর ছেড়ে দিত। যখন মানুষকে বোবা ভুতে ধরে তখন যাকে ধরে তার জীবন বোবা ভূতের হাতেই থাকে। কারন সে যতক্ষণ খুশি মানুষকে ধরে রাখতে পারে।যতক্ষণ খুশি মানুষের গলা এবং বুক আটকে রাখতে পারে।যার জন্য মানুষ শ্বাস করতে পারে না।তাই ওরা মানুষকে ঘুমের মধ্যে মেরে ফেলতে পারে।আমার বোনদের প্রায় ধরত, এমন কি অজু করে পবিত্র হয়ে কুরআন থেকে সূরাগুলো পড়ার পরও ধরতো। অজু করলেও যেহেতু কাজ হয় না তারপর থেকে আমি প্রতিরাতে ওযু ছাড়া আয়াতুল কুরসি, চার কুল,আর ঘুমানোর দোয়া পড়ে ঘুমাতাম। এমনকি দিনের বেলায় সবার মাঝে ঘুমালেও বোবায় ধরে। এবং ধরার এক মুহূর্তে আমাকে স্বপ্নে অনেক ভয়ঙ্কর রূপ এবং ভয়ংকর কণ্ঠে শুনিয়ে ভয় দেখায়। এমন কি এখনো আমাকে মাঝে মাঝে বোবা ভুতে ধরে। বোবা ভূত বলতে যে কিছু আছে অনেকেই বিশ্বাস করে না। কিন্তু এটা সত্যি ওরা আছে। ওরা মানুষের ঘুমের মধ্যে ভয় দেখায়। বিজ্ঞানীরা এটাকে বিশ্বাস করে না। তারা বোবাই ধরাটাকে স্লিপ প্যারালাইজড বলে।
।