বৃষ্টিভেজা ভালোবাসা
রায়হান আর তৃষা—দুইজন ভিন্ন জগতের মানুষ। রায়হান ছিল শহরের একজন উদাসী চিত্রশিল্পী, আর তৃষা ছিল গ্রামের স্কুলশিক্ষিকা। একদিন এক বন্ধুর বিয়েতে তাদের প্রথম দেখা হয়। তৃষার হাসিমাখা মুখ যেন রায়হানের ক্যানভাসে রঙ ছড়িয়ে দিল।
বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে শুরু হয় বৃষ্টি। সবাই দৌড়ে আশ্রয় খুঁজতে থাকে, আর রায়হান দেখে তৃষা ছাতাবিহীন দাঁড়িয়ে আছে। সে নিজের ছাতাটি এগিয়ে দেয়। বৃষ্টির শব্দ, চোখে চোখ রাখা, আর সেই নিরবতা—তাদের মধ্যে অদ্ভুত এক অনুভব জাগিয়ে তোলে।
তারপর শুরু হয় চিঠি বিনিময়, ফোনে কথা, একে অপরের চিন্তায় ডুবে যাওয়া। রায়হান তাকে নিজের শহরে ডেকে আনে তার আঁকা একটি পেইন্টিং প্রদর্শনীতে। তৃষা সেখানে দেখে, প্রদর্শনীর কেন্দ্রবিন্দুতে একটি ছবি—একটি মেয়ের, বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে। সেটা তারই ছবি!
রায়হান বলে, “তুমি আমার প্রতিটি ছবির অনুপ্রেরণা, তৃষা। আমি চাই আমার জীবনের ক্যানভাসেও তুমি থাকো চিরকাল।”
তৃষা হাসে, চোখে জল নিয়ে বলে, “আর বৃষ্টি হলেই আমি মনে রাখব—এই ভালোবাসা একদিন বৃষ্টির হাত ধরে শুরু হয়েছিল।”