আমার চামড়া এখন আর শরীর নয়—
এটা একটা ব্যাখ্যাতীত পাপশাস্ত্র।
তুমি আমাকে ধরতে চেয়েছিলে—
আমি নিজেকেই ছিঁড়ে ফেলেছি।
প্রতিদিন মেরুদণ্ড ভেঙে পড়ে ঘুমের নিচে
যেন নাগালের বাইরে চলে যাওয়া এক জারজ সভ্যতা।
আমার যোনি থেকে রক্ত নয়,
আস্ত এক বিপ্লব ঝরে পড়ে—
তুমি তা দেখনি।
তুমি চেয়েছিলে আমি সুন্দর হই,
যেন কোনও পোস্টারে হাসি দিয়ে
একটি ভুল স্বপ্নকে সার্থক করি।
তুমি বুঝোনি—
আমার ভেতরে যে আগুন
তা নিতান্তই সৌন্দর্যহীন।
আমি এখন ঠোঁট কামড়ে কামড়ে
মুছে দিই প্রেমের প্রতিটি বানান।
আমার ঠোঁটে যে ভাষা জন্ম নিচ্ছে
তার নাম— স্বঘোষিত অবিশ্বাস।
আমি ঈশ্বরকে ডেকেছিলাম,
সে আসেনি।
তাই একদিন প্রেমিকের জিহ্বায় আমি ঈশ্বর খুঁজেছিলাম—
কিন্তু সেখানে কেবল শুকনো রক্ত ছিল।
আজ আমি পুরোনো কবিতাগুলো ছিঁড়ে ছিঁড়ে
নিজের স্তন ঢেকে ফেলি—
যেন আর কেউ আমাকে পড়তে না পারে।
আমি বাঁচি— এই শব্দে এখন আর কোনও অর্থ নেই।
আমি চাই—
এই শব্দটা আত্মহত্যা করুক।