একবার এক যুবক হযরত আলী (রাঃ)-এর দরবারে এসে তিনটি প্রশ্ন করল।
প্রশ্ন ১: আল্লাহকে আপনি কিভাবে চিনলেন?
উত্তর: হযরত আলী (রাঃ) বললেন, “আমি নিজের আত্মাকে চিনেই আল্লাহকে চিনেছি। যে নিজেকে চিনে, সে তার প্রভুকে চিনতে পারে।”
প্রশ্ন ২: তকদির (ভাগ্য) যদি লেখা থাকে, তাহলে আমরা দোষী কেন?
উত্তর: হযরত আলী (রাঃ) যুবকের পায়ে হালকা একটা লাথি মারলেন। যুবক ব্যথায় কুঁকড়ে গেল এবং বলল, “আপনি আমায় আঘাত করলেন কেন?”
হযরত আলী (রাঃ) জবাব দিলেন, “তুমি যদি বিশ্বাস করো সব কিছু তকদিরে লেখা, তাহলে তুমি কষ্ট পাচ্ছ কেন?”
যুবক মাথা নিচু করে বলল, “আমি বুঝেছি, আমল ও ইচ্ছা আমাদেরই।”
প্রশ্ন ৩: আপনি আল্লাহকে দেখেছেন কি?
উত্তর: হযরত আলী (রাঃ) বললেন, “যাঁকে না দেখে আমি ইবাদত করি না, তাঁকে অবশ্যই হৃদয় দিয়ে অনুভব করি। চোখে না দেখলেও, বিশ্বাস ও হৃদয় দিয়ে তাঁকে দেখি।”
এই গল্পটি আমাদের শেখায়:
আত্ম-জ্ঞান মানুষকে আল্লাহর দিকে নিয়ে যায়।
তকদির মানে কাজ না করে বসে থাকা নয়।
আল্লাহকে ভালোবাসা ও অনুভব করা যায়, যদিও তিনি দৃষ্টিগোচর নন।